মহাসড়ক অবরোধ : কালিয়াকৈরে ইফতার খেয়ে মৃত্যু তিন শ্রমিকের

আগের সংবাদ

উৎসব ঘিরে চাঙা অর্থনীতি : অতিরিক্ত লেনদেন দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি, ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০ হাজার কোটি টাকা

পরের সংবাদ

সময়সীমা পেরিয়ে আরো সাড়ে ৩ বছর পার : রাস্তার কাজ বন্ধে দুর্ভোগে ১৫ গ্রামের মানুষ

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সারোয়ার হোসেন শাহীন, কটিয়াদি (কিশোরগঞ্জ) থেকে : কটিয়াদী উপজেলার মানিকখালী জেসি থেকে চরিয়াকোনা-শিবনাথ সাহার বাজার ভায়া মাগুরা রাস্তাটি নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার সাড়ে তিন বছর পার হলেও শেষ হয়নি। এখন বন্ধ রয়েছে নির্মাণ কাজ। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন উপজেলার ১৫ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। জানা গেছে, ময়মনসিংহ অঞ্চলের পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার মানিকখালী জেসি থেকে চরিয়াকোনা-শিবনাথ সাহার বাজার ভায়া মাগুরা ৭ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে প্রাক্কলন ধরা হয়েছিল ৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। মের্সাস ডলি এন্টারপ্রাইজ নামে ঢাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। রাস্তাটি নির্মাণের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ২০১৮ সালের নভেম্বরে কার্যাদেশ দেয়া হয়। শর্তানুযায়ী ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল। প্রতিষ্ঠানটি যথাসময়ে কাজ শুরু করলেও তা শেষ করেনি। রাস্তার আংশিক কাজ করে একটি চলতিবিল উঠিয়ে নেয় নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। তারপর থেকে বন্ধ রয়েছে কাজ। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ওই সড়কের কাজ হয়েছে ৩৫ শতাংশ।
স্থানীয় বাসিন্দা এডভোকেট সোহেল আবেদীন রানা বলেন, রাস্তার নির্মাণ কাজ যথাসময়ে শুরু হলেও শুধুমাত্র মাটি খুঁড়ে কাজ বন্ধ করে রাখে ঠিকাদার। এতে এলাকাবাসী পড়েছে মহাবিপাকে। বর্ষাকালে পরিস্থিতি ভয়ানক হয়। বৃষ্টির পানি জমে হাঁটু পর্যন্ত কাদা তৈরি হয়, যার ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। রাস্তার নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য বেশ কয়েকবার মানববন্ধনও করেছেন এলাকাবাসী। মুমুরদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সামসুদ্দিন ভূইয়া বলেন, কমরভোগ, মাগুরা, চাড়িয়া, ভাংনাদী, কুড়িখাই, জোয়ারিয়াসহ ১৫ গ্রামের মানুষ নিত্য যাতায়াত করে এই রাস্তা দিয়ে। বর্তমানে রাস্তার দুরবস্থার কারণে শিক্ষার্থীসহ সবাইকে অনেক ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ডলি কনস্ট্রাকশনের বক্তব্য জানতে অফিসিয়াল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা প্রকৌশলী অন্তু বল বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ সমাপ্ত না করায় কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে।

যেহেতু নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তাই প্রকল্পটি সংশোধন করে পুনঃপ্রক্কালন তৈরী করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলে রাস্তাটি নির্মাণ করা হবে।
কিশোরগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ডলি কনষ্ট্রাকশন জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কাজ নিলেও কোনো কাজই শতভাগ সম্পন্ন করেনি। এ ব্যাপারে কয়েক বার নোটিস করেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। তাই এ প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারি লাইসেন্স বাতিলসহ জরিমানা করা হয়েছে। প্রকল্পটির অবশিষ্ট কাজের প্রাক্কলন অনুমোদনের জন্য প্রকল্প পরিচালকের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে দরপত্র আহ্বান করে দ্রুত কাজটি বাস্তবায়ন করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়