তুমি যেন ফাল্গুনী কচিপাতার ঘ্রাণে দখিনা বাতাস
হু হু করে বয়ে এসে খুলে দাও মনের বাতায়ন
বসন্তের রঙে ভিজিয়ে দিয়ে যাও মনের বারান্দা
আমিও কল্পনার ক্যানভাসে অনুভূতির রংতুলির আঁচড়ে
তোমার অদেখা অবয়ব আঁকি,
তুমিময় মোহঘোরের নেশায় দুচোখ ডুবিয়ে রাখি।
স্বপ্নঘোরেই তুলির স্পর্শে সাজাই অচেনাকে
উশকোখুশকো চুল, স্মিতহাসি অধরে
এক ফালি চাঁদ এঁকে দিয়ে আলোময় করি
পেশিবহুল চওড়া বাহুর দীর্ঘাকৃতির সুদর্শন পুরুষ রূপে,
নয়নমণিতে তৃষ্ণার ছায়া আর শরীরের ভাঁজে ভাঁজে
এঁকে দেই ঝলমলে জ্যোৎস্নার মায়া।
সেই অদেখাকে ধরা মাঝে ছোঁয়ার সাধ নেই আমার
কেবল কল্পরাজ্যেই তার নীরব আনাগোনা,
ব্যথাহত শ্রাবণ চোখেও আবেগি হৃদয় অম্বরে
তার হাত ধরতেই আমি পেঁজা তুলো মেঘ হয়ে উড়ে বেড়াই,
গুমোট হৃদয়ের ঘোর অমাবস্যাতেও
নক্ষত্রের সামিয়ানায় তারই সংস্পর্শে নিত্য বাসর সাজাই।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।