১০৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ : হোমল্যান্ড লাইফের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

আগের সংবাদ

মনোনয়নে আ.লীগের গুরুত্ব তৃণমূল : চ্যালেঞ্জে শতাধিক এমপি, চাপের মুখে সাংগঠনিক সম্পাদকরা, জেলার পর উপজেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক

পরের সংবাদ

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন : শতভাগ কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে বিদেশি ৮ ব্যাংক

প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ব্যাংক খাতে ৩০ হাজার ৯১১ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে জুলাই-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে দেশের ব্যাংকগুলো ২১ হাজার ৬৭ কোটি টাকা বা লক্ষ্যমাত্রার ৬৮ দশমিক ১৫ শতাংশ ঋণ বিতরণ করেছে। এদিকে অর্থবছরের প্রথম আট মাসের মধ্যেই কৃষি ঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ পূরণ করেছে বিদেশি ৮ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে- দেশে কার্যরত ৮টি বিদেশি মালিকানাধীন ব্যাংককে ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট ৭৭১ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়। ২০২২ সালের জুলাই থেকে গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণ করেছে প্রায় ৭৭৪ কোটি টাকা। ফলে অর্থবছর শেষ হওয়ার ৪ মাস আগেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে ফেলেছে ব্যাংকগুলো।
ফেব্রুয়ারি মাসের কৃষিঋণ বিতরণের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, জানুয়ারি শেষেই ৪টি বিদেশি ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে ফেলে। ফেব্রুয়ারি শেষে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৭টিতে। সবচেয়ে বেশি ৪০২ কোটি টাকা বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে থাকা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ৮০ শতাংশ লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছে, এটি অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংকের তুলনায় অনেক বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন করে ৩টি বিদেশি ব্যাংক যোগ হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ পূরণ করা ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২টিতে। এর বিপরীতে আবার ১২টি ব্যাংক এমনো আছে যারা লক্ষ্যমাত্রার ৫০ শতাংশও বিতরণ করতে পারেনি। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পিছিয়ে থাকা ব্যাংকগুলোর মধ্যে ২টি ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রার ১০ শতাংশও বিতরণ করেনি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ব্যাংক খাতে ৩০ হাজার ৯১১ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে জুলাই-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে দেশের ব্যাংকগুলো ২১ হাজার ৬৭ কোটি টাকা বা লক্ষ্যমাত্রার ৬৮ দশমিক ১৫ শতাংশ ঋণ বিতরণ করেছে।
গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাংকগুলো চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে ১,৫৩৭ কোটি টাকা বেশি ঋণ বিতরণ করলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পিছিয়েছে। গত অর্থবছরে ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে লক্ষ্যমাত্রার ৬৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ অর্জন করতে পেরেছিল ব্যাংকগুলো। অক্টোবরের শেষ থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কৃষি ঋণের চাহিদা থাকে উল্লেখ করে একটি বেসরকারি ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, এ সময়টাই আসলে পিক সিজন। আমাদের মূল ডিসবার্সমেন্ট এই সময়েই হয়। তবে যেসব ব্যাংক বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বেশ দূরে আছে, তারা মূলত গ্রামাঞ্চলে ব্রাঞ্চ না থাকার কারণে টার্গেট এচিভ করতে পারছে না। এছাড়া এই লোনগুলো ডিসবার্স করতে অপারেটিং কস্টও অনেক বেশি হয়।
ব্যাংক সাধারণত মূল ব্রাঞ্চ, এজেন্ট ব্যাংকিং ও এনজিও এর মাধ্যমে কৃষিঋণ বিতরণ করে থাকে। সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ করা কৃষি ঋণের ইন্টারেস্ট রেট ৮ শতাংশ, যেখানে এনজিও ২৪ শতাংশ পর্যন্ত ইন্টারেস্ট নিচ্ছে। দেশের ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা কৃষিঋণের প্রায় ৫০-৬০ শতাংশই বিতরণ করা হয় এনজিও-এর মাধ্যমে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়