ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সাব কমিশন গঠনের প্রস্তাব বাংলাদেশের

আগের সংবাদ

চিকিৎসার ফি নির্ধারণ কতদূর? : বেসরকারি হাসপাতালে সেবা নেন ৮৬ শতাংশ মানুষ, স্বাস্থ্য খাতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে

পরের সংবাদ

নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সেবা নেন পৌনে দুই কোটি নাগরিক

প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আছাদুজ্জামান : নগরবাসীর অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার কাঠামো আরো উন্নত করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ এবং স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন-২০০৯ অনুসারে নগর ও পৌরসভাগুলোতে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবাদানের দায়িত্ব অনুযায়ী ১৯৯৮ সাল থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
২০১৮ সালের ১ এপ্রিল চালু হওয়া ইউপিএইচসিএসডিপি-২ প্রকল্প থেকে ১১টি সিটি করপোরেশন এবং ১৩টি পৌরসভার ১.৭ কোটি জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের টার্গেট রয়েছে, যা বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে মোট জনসংখ্যার ২৭.১৭ ভাগ। এই প্রকল্পটি ২০২৪ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ১৯৯৮ সাল থেকে ৪টি পর্যায়ে এ চলমান প্রকল্পের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৪ কোটি বিভিন্ন ধরনের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়েছে যেখানে প্রায় ৭৪ লাখ প্রসবপূর্ববর্তী এবং ২২ লাখ প্রসবপরবর্তী সেবা প্রদান, প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ ‘আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা’ সেবা প্রদান, দুই বছরের কম বয়সি শিশুকে বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে প্রায় ৭০ লাখ টিকা প্রদান এবং নরমাল ডেলিভারি এবং সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ছয় লাখ শিশু জন্মগ্রহণ করেছে।
এছাড়া লাল কার্ডধারী দরিদ্রদের বিনামূল্যে ৩০ শতাংশ সেবা দেয়া হচ্ছে। তবে অর্থের অভাবে যাতে কেউ স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত না হয় এই ধারণা থেকে এই প্রকল্পটি চালু করে সরকার। ১১টি সিটি করপোরেশন ও ১৩টি পৌরসভায় স্থাপন করা হয়েছে নগর মাতৃসদন ও নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র। যেগুলো প্রসূতি মায়েদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতসহ শিশুদের বিভিন্ন টিকা দেয়ার মাধ্যমে মানুষের ভরসা ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এই স্বাস্থ্যসেবার পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রকল্পের (পর্যায়-২) (ইউপিইএচএসডিপি) আওতায় দেশে নগর মাতৃসদন ও নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব ও এডিবির অর্থায়নে ১ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশে ১১টি সিটি করপোরেশন ও ১৩টি পৌরসভার জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছে। বিশেষ করে সেখানকার স্বল্প আয়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নানা বয়সের মানুষ এ সেবা গ্রহণ করছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ১২ কোটি ইউনিট বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়েছে।
প্রায় ৬২ লাখ প্রসবপূর্ববর্তী ও ১৮ লাখ প্রসবপরবর্তী সেবা দেয়া হয়েছে। নরমাল ডেলিভারি এবং সেকশনের মাধ্যমে এ প্রকল্পের আওতায় ৫ লাখ শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। প্রায় ৯২ লাখ ‘আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা’ সেবা হয়েছে। ২ বছরের কম বয়সি শিশুকে বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ৪৮ লাখ টিকা দেয়া হয়েছে। ৬ মাস থেকে ৫ বছরের শিশুদের জাতীয় টিকা দিবসে ৪৩ লাখ ভিটামিন-এ এবং কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে।
প্রকল্পটির বিষয়ে জানতে চাইলে আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রকল্পের (পর্যায়-২) পরিচালক আবুল ফয়েজ আলাউদ্দিন খান বলেন, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, প্রসূতি মায়েদের নিরাপদে সন্তান প্রসব নিশ্চিত করা, এমনকি প্রসূতি মায়েদের প্রসবপূর্ববর্তী ও প্রসবপরবর্তী স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করছে প্রকল্পটি। মূলত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহর এলাকার নি¤œআয়ের জনগণের পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে এই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো নির্মাণ করেছেন। যাতে কেউ করে কেউ যেন স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। তিনি আরো বলেন, ছোট শিশুদের টিকাদান এবং প্রসূতি মায়েদের সন্তান প্রসবের আগে ও পরে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়