কাগজ প্রতিবেদক : জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে চার্জগঠন শুনানি পিছিয়েছে।
গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ছিল। এ দিন পলাতক তারেক ও জোবায়দার পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার আইনজীবী নিয়োগের বিষয়ে শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে আইনজীবী হিসেবে চার্জগঠন শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে চান। তবে দুদকের পক্ষের আইনজীবী মীর আহাম্মেদ আলী সালাম বিরোধিতা করে বলেন, আসামি পলাতক থাকলে আইনজীবী নিয়োগের কোনো সুযোগ নেই। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আগামী ৯ এপ্রিল আইনজীবী নিয়োগ বিষয়ে অধিকতর শুনানি ও চার্জশুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে গত বছরের ১ নভেম্বর তারেক ও জোবায়দার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তবে তাদের গ্রেপ্তার করতে না পারায় সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন আদালত।
মামলা থেকে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। পরে ২০০৯ সালের ৩১ মার্চ আদালতে ওই ৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় তারেকের। এছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাসহ আরো ২টি মামলায় তাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।