ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সাব কমিশন গঠনের প্রস্তাব বাংলাদেশের

আগের সংবাদ

চিকিৎসার ফি নির্ধারণ কতদূর? : বেসরকারি হাসপাতালে সেবা নেন ৮৬ শতাংশ মানুষ, স্বাস্থ্য খাতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে

পরের সংবাদ

অবৈধ যান চলাচলে গোপন ঘুষ চুক্তির স্লিপ ফাঁস : পুলিশের ওপর ক্ষোভ চালকদের

প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শেখ কাজিম উদ্দীন, বেনাপোল (যশোর) থেকে : অবৈধ যান চলাচলে ঘুষ চুক্তির স্লিপ থাকলেও তা না মেনে আইনি পদক্ষেপ নেয়ায় নাভারন হাইওয়ে পুলিশের উপর ক্ষেপেছেন স্থানীয় চালকরা।
অভিযোগ রয়েছে, ভিন্ন ভিন্ন সমবায় সমিতিসহ সাদা কাগজে স্লিপ তৈরি করে অবৈধ সব যান হাইওয়েতে চলাচলের বিপরীতে নাভারন হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন কয়েকটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাসিক চুক্তিতে ইজিবাইক প্রতি ৯০০ টাকা, জেএসএ ১ হাজার টাকা, নসিমন করিমন প্রতি ৭০০ টাকা, মাটি বহনের ট্রাক ও ট্রাক্টরপ্রতি ১ হাজার টাকা করে গ্রহণ করেন। সেই হিসাবে নাভারন হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন মাসে অন্তত ২০ লক্ষাধিক টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। সম্প্রতি চুক্তির স্লিপ থাকা স্বত্ত্বেও ১০টি ইজিবাইক আটক করায় স্থানীয় ইজিবাইক চালকরা ফুঁসে উঠে ভোরের কাগজ প্রতিনিধির কাছে ঘটনাটি প্রকাশ করেন।
অবৈধ ওই চালকরা বলছেন, হাইওয়ে পুলিশকে চুক্তিভিত্তিক মাসিক ঘুষ পরিশোধ করা হয়। চুক্তির স্লিপ থাকার পরও কলাগাছি এলাকা থেকে তাদের ইজিবাইকগুলো আটক করা হয়েছে। পুলিশ মাসিক চুক্তিতে ঘুষ খাওয়ার পরেও যদি মামলা দেয় তাহলে তাদের কি হবে? এতে পুলিশের ঘুষ চুক্তিমালা লঙ্ঘিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তারা।
বেনাপোলের ইজিবাইক চালক আতাউর রহমান বলেন, প্রতি মাস শেষ হওয়ার আগেই তিনি এশিয়ান হাইওয়ের মহাসড়কে তার ইজিবাইক চলাচলের জন্য নাভারন হাইওয়ে পুলিশের কাছ থেকে ৯০০ টাকার স্লিপ ক্রয় করে থাকেন। এরপরও ইজিবাইকটি আটক করেন নাভারন হাইওয়ে পুলিশ। এ সময় তিনি পরিশোধ স্লিপ দেখালেও তার বাইকটিতে ৫ হাজার টাকার মামলা দেয়। এ বিষয়ে নাভারন হাইওয়ে পুলিশের ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশ থাকায় সামনে যতোগুলো ইজিবাইক পাওয়া গেছে তাদের সবাইকে মামলা দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয় বলে তিনি দাবি করেন।
জানা যায়, বেনাপোলের তিন শতাধিক, শার্শার দেড় শতাধিক, নাভারনের দুই শতাধিক ও বাগআঁচড়ার দুই শতাধিক ইজিবাইকের প্রত্যেকে নাভারন হাইওয়ে ফাঁড়ি পুলিশের ৯ শত টাকার স্লিপ ক্রয় করে মহাসড়কে চলাচল করে।
এছাড়া, নাভারনের সাতক্ষীরা মোড় থেকে দেড় শতাধিক ও নাভারন কলেজের সামনে থেকে বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পর্যন্ত দেড় শতাধিক জে এস এ যান চলাচল করে। তাছাড়া শার্শা উপজেলার বেনাপোলসহ বিভিন্ন প্রান্তের সহ¯্রাধিক মাটি-বালির ট্রাক ও ট্রাক্টর হাইওয়েতে চলাচল করে। সেই সঙ্গে নসিমন করিমন চলাচল করে অহরহ। এসব খাত থেকে নাভারন হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ মোটা টাকার বাণিজ্য করেন বলে এলাকায় ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে জাতীয় মহাসড়কে থ্রি-হুইলার, অটোরিকশা ও অটো টেম্পো এবং সব শ্রেণির অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও বিশেষ ক্ষমতার জোরে সরকারের আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা শার্শা উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি উপজেলার নিষিদ্ধ যানবাহনকে মহাসড়কে চলার অনুমতি স্লিপ দিয়ে রমরমা বাণিজ্য করে চলেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়