ঢাবি প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়ের ইবনে হুমায়ুনকে মারধরের অভিযোগে প্রলয় গ্যাংয়ের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের জসীমউদ্দীন হলের শিক্ষার্থী নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ সাকিব। গতকাল সোমবার বিকালে দুজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ওসি নুর মোহাম্মদ। এর আগে গত রবিবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জোবায়ের ইবনে হুমায়ুনের মা সাদিয়া আফরোজ খান বাদী হয়ে গ্যাংয়ের ১৯ জন সদস্যের নামে মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি নুর মোহাম্মদ বলেন, রবিবার জোবায়ের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মারধরের ঘটনায় নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও ফয়সাল আহমেদ সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফয়সাল আহমেদ সাকিব ২ নম্বর আসামি এবং নাঈমুর রহমান দুর্জয় ৬ নম্বর আসামি। গ্রেপ্তারের পর তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও মামলার বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে এবং বাকিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার এজাহারভুক্ত অন্যান্য আসামিরা হলেন- মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী তবারক মিয়া, মো. শোভন, সিফরাত সাহিল, সৈয়দ নাসিফ ইমতিয়াজ সাইদ, মাস্টার দ্য সূর্যসেন হলের ফারহান লাবিব, মুহসীন হলের অর্ণব খাঁন, আবু রায়হান, জসীমউদ্দিন হলের সাদ, রহমান জিয়া, মোশারফ হোসেন, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের মাহিন মনোয়ার, হেদায়েতুন নুর, সাদমান তাওহীদ বর্ষণ, আব্দুল্লাহ আল আরিফ, জগন্নাথ হলের প্রত্যয় সাহা, জয় বিশ্বাস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ফেরদৌস আলম ইমন।
এদিকে প্রলয় গ্যাংয়ের সব সদস্যকে চিহ্নিত করা ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করার দাবি জানিয়ে গতকাল সোমবার রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন করেছে অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে গ্যাংকালচার নির্মূল করতে হবে। প্রতিটি শিক্ষার্থী যাতে অবাধে ক্যাম্পাসে চলাচল করতে পারে সেই পরিবেশ শিক্ষার্থীরা আশা করেন। ক্যাম্পাসে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রশাসনকে আরো কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান তারা।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার সন্ধ্যায় ইফতারের পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্দীন হলের সামনে জোবায়ের ইবনে হুমায়ুনকে মারধর করে একদল শিক্ষার্থী। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তাদের নিজস্ব একটি গ্যাং রয়েছে। নাম-প্রলয়। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।