১ মিনিট ‘ব্ল্যাকআউট’ : আলোর মিছিলে গণহত্যার স্বীকৃতি দাবি

আগের সংবাদ

পাঠ্যবই কেলেঙ্কারি : গোয়েন্দা নজরদারিতে ৪ কর্মকর্তা

পরের সংবাদ

প্রেস ব্রিফিংয়ে বন্দর চেয়ারম্যান : পায়রা বন্দরে গত বছর ৮০০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে

প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এসকে রঞ্জন ও আনোয়ার হোসেন আনু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) থেকে : পায়রা বন্দরে গত অর্থ বছর ৮০০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল আহমেদ। গতকাল রবিবার দুপুরে পায়রা বন্দরের সভা কক্ষে বন্দরের ড্রেজিং কাজ হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
এ দিকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়িত বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ড্রেজিং স্কিম ‘রামনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ড্রেজিং’ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
বেলজিয়াম ভিত্তিক একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ড্রেজিং কাজটি সম্পন্ন করে। গতকাল ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে আনুষ্ঠানিকভাবে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল আহমেদ বলেন, পায়রা বন্দর আজ থেকে বাংলাদেশের গভীরতম সমুদ্র বন্দর হিসেবে রূপ নিচ্ছে। এখন ৪০ থেকে ৫০ হাজার টন ধারণ সক্ষমতা সম্পন্ন পণ্যবাহী জাহাজ এই বন্দরের জেটিতে ভিড়তে সক্ষম হবে। এটি দেশের একমাত্র স্বাধীন সমুদ্র বন্দর। আগামী অর্থবছর থেকে বন্দরটি নিজস্ব আয়ে চলার মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতিতে ১০ গুণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ড্রেজিং প্রকল্প পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল এন্ড মেইনটেনেন্স ড্রেজিংয়ের কাজ ইতোমধ্যে সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার দাবি করে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ড্রেজিংয়ের ফলে চ্যানেলটির গভীরতা ১০ দশমিক ৫ মিটারে উন্নীত হয়েছে, যা বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে গভীরতম সমুদ্র বন্দর। এর ফলে প্যানামেক্স সাইজের বড় মাদার ভ্যাসেল আজ থেকে বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে। পায়রা বন্দরের সহায়তায় বেলজিয়াম ভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি জান ডি নুল এই ড্রেজিং কাজটি সম্পন্ন করেছে। ৭৫ কিমি দীর্ঘ এবং প্রায় ৫ কিমি প্রস্থের চ্যানেলটির খনন কাজ ২০২১ সালের জুনে শুরু হয়। এসময় পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, পায়রা বন্দরে এ পর্যন্ত দেশি-বিদেশি ৮০০ জাহাজ মালামাল নিয়ে আসে। আর এ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৮০০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় করেছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মহিবুর রহমান মহিব এমপি বলেন, পায়রা বন্দর দেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। দেশি বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার মোকাবিলা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একক চেষ্টায় আজ পায়রা বন্দর বাস্তবে রূপ নিয়েছে। পায়রা বন্দর এখন স্বপ্ন নয় বাস্তব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়