১ মিনিট ‘ব্ল্যাকআউট’ : আলোর মিছিলে গণহত্যার স্বীকৃতি দাবি

আগের সংবাদ

পাঠ্যবই কেলেঙ্কারি : গোয়েন্দা নজরদারিতে ৪ কর্মকর্তা

পরের সংবাদ

তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবি : অভিবাসনপ্রত্যাশী ১৯ আফ্রিকান নিহত

প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে যাওয়ার চেষ্টাকালে তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে সাব-সাহারান আফ্রিকা থেকে যাওয়া অন্তত ১৯ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি মানবাধিকার গোষ্ঠী। গতকাল রবিবার তারা এ কথা জানায়।
এর আগের চার দিনে তিউনিসিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর স্ফ্যাক্সের কাছে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ৫টি নৌকা ডুবে ৯ জনের মৃত্যু এবং ৬৭ জন নিখোঁজ হয়েছে।
সা¤প্রতিক সময়ে ইতালি অভিমুখে অভিবাসন প্রত্যাশীদের নৌকার বহর বেড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনাও বাড়ছে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
যে নৌকার ১৯ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর খবর মিলেছে, সেটি স্ফ্যাক্সের সমুদ্রসৈকত থেকে রওনা দিয়েছিল। মাহদিয়া উপকূলের কাছ থেকে তিউনিসিয়ার কোস্ট গার্ড ডুবে যাওয়া নৌকাটির ৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছেন ফোরাম ফর সোশাল এন্ড ইকোনমিক রাইটসের (এফটিডিইএস) কর্মকর্তা রমাদান বিন ওমর। তাৎক্ষণিকভাবে এই প্রসঙ্গে তিউনিসিয়ার কর্তৃপক্ষের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে দেশটির কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, চার দিনে তারা ইতালি অভিমুখে যাওয়া প্রায় ৮০টি নৌকা থামিয়েছে, আটক করেছে তিন হাজারের বেশি অভিবাসন প্রত্যাশীকে। এই অভিবাসন প্রত্যাশীদের বেশিরভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকান অঞ্চলের অধিবাসী।
দারিদ্র্য, সংঘাত থেকে পালিয়ে উন্নত জীবনের আশায় আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপে ছোটা মানুষদের কাছে সা¤প্রতিক সময়ে যাত্রা শুরুর অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে স্ফ্যাক্সের উপকূল।
তিউনিসিয়ার কর্তৃপক্ষ এখন কাগজপত্রহীন সাব-সাহারান আফ্রিকানদের আটকে ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে, তার মধ্যেই এই নৌকাডুবির ঘটনাগুলো ঘটছে।
গত বৃহস্পতিবার ইতালির কোস্ট গার্ড বলেছিল, দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলে চালানো দুটি অভিযানে তারা প্রায় সাড়ে সাতশ অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করতে পেরেছে।
তিউনিসিয়ার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষাকর্তা হয়ে না দাঁড়ালে উত্তর আফ্রিকা থেকে রওনা হওয়া বিপুল সংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ইউরোপ তার তীরে দেখতে পাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে শুক্রবার মন্তব্য করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।
তিনি অর্থনৈতিক ধস এড়াতে তিউনিসিয়াকে সাহায্য করতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও ইউরোপের বড় অর্থনীতির দেশগুলোর প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়