১ মিনিট ‘ব্ল্যাকআউট’ : আলোর মিছিলে গণহত্যার স্বীকৃতি দাবি

আগের সংবাদ

পাঠ্যবই কেলেঙ্কারি : গোয়েন্দা নজরদারিতে ৪ কর্মকর্তা

পরের সংবাদ

উদ্ধার ২৪ মোটরসাইকেল : আন্তঃজেলা চোর চক্রের হোতাসহ গ্রেপ্তার ৫

প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম শহর ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে দীর্ঘদিন ধরে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় চোর চক্রের মূল হোতাসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয় ২৪টি চোরাই মোটরসাইকেল। গ্রেপ্তারকৃতরা আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য। মাত্র ১০-২০ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে তারা একটি মোটরসাইকেল চুরি করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে পারে।
চট্টগ্রাম মহানগরীসহ আশপাশের এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে স›দ্বীপ থানা এলাকা এবং কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় সেগুলো বিক্রি করে থাকে চক্রটি। মূলত চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রির জন্য তারা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ স›দ্বীপকে বেছে নিয়েছে। গতকাল রোববার নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য দেন উপকমিশনার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মিঠন ধর (২৯), মো. বাবর (৩৫), মো. শাহেদ (২৬), মো. রিপন (৪০) ও মো. খোরশেদ আলম (২৯)।
পুলিশ জানায়, শনিবার বিশেষ অভিযান চালিয়ে কোতোয়ালি থানাধীন পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনসংলগ্ন গ্রামীণ মাঠের রাস্তার ওপর থেকে চোর চক্রের মূল হোতা মিঠন ধর ও মো. বাবর ওরফে বাবুলকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে স›দ্বীপ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শাহেদ ও রিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ২৩টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। অভিযান চলাকালে চোর চক্রের সদস্য মো. দিদার হোসেন (৩০) ও মো. নজরুল ইসলাম (৩০) ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে আসামি মিঠন ধরের তথ্য অনুযায়ী চক্রের সদস্য খোরশেদ আলমকে কোতোয়ালি থানাধীন ব্রিজঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ওসি জাহিদুল কবীর জানান, চট্টগ্রাম শহর ও আশপাশের এলাকা থেকে চুরি করা মোটরসাইকেল স›দ্বীপ-কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় গতকাল রবিবার কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিরা মোটরসাইকেল চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ওসি আরো জানান, আসামি মিঠন ধরের বিরুদ্ধে লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া থানায় ৩টি চুরির মামলা, মো. বাবরের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি ও খুলশী থানায় ২টি মোটরসাইকেল চুরির মামলা রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়