তুরাগ : মাদক কারবারির হাতে ছুরিকাহত এসআই

আগের সংবাদ

বাজারে ক্রেতার নাভিশ্বাস

পরের সংবাদ

যথাযথ মর্যাদায় বিভিন্ন স্থানে গণহত্যা দিবস পালিত

প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : নানা আয়োজনে যথাযথ মর্যাদায় গতকাল শনিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গণহত্যার শিকার সব শহীদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ¦ালন ও এক মিনিট নীরবতা পালন,আলোচনা সভা ইত্যাদি। এ সম্পর্কে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট-
খুলনা : খুলনায় ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভা গতকাল শনিবার সকালে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে তার সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশন মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। সভার শুরুতেই ২৫ মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গণহত্যার শিকার সব শহীদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ¦ালন ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি খুলনা সিটি করপোরেশন মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক তার বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি আরো স্মরণ করেন ২৫ মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গণহত্যার শিকার সব শহীদকে। তিনি বলেন, জাতির পিতার আন্দোলন সংগ্রামের কারণে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছেন।
তিনি আরো বলেন, বাঙালি জাতিকে চিরতরে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অপারেশন সার্চলাইট নামে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। এটি ছিল একটি প্রজন্মকে ধ্বংস করে দেয়ার এক নারকীয় পরিকল্পনা। কিন্তু বাঙালি জাতির সৌভাগ্য যে বঙ্গবন্ধু সেই শোষণ ও অত্যাচার থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করেছেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিকে সংরক্ষণের ব্যাপারে জোর দেন এবং এ বিষয়ে আরো প্রচেষ্টা চালানো হবে বলে মতো প্রকাশ করেন।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরি, কেএমপির পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আতিকুর রহমান মিয়া, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আলমগীর কবির, সরদার মাহাবুবার রহমান প্রমুখ। সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রধান অতিথি দাকোপ উপজেলার ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংবলিত ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ৭১ এর আত্মকথন’ বই এর মোড়ক উন্মোচন করেন।
পাবনা : পাবনায় শনিবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে পাবনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, এই দিবস গুলি নিয়ে আরো বেশি করে ও গভীরভাবে আলোচনা করতে হবে এবং নতুন প্রজন্মের মধ্যে স্বাধীনতার চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে। স্বাধীনতার চেতনাবোধ থাকলে দেশাত্মবোধ থাকবে। দেশাত্মবোধ থাকলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় থাকবে। গণহত্যা পাকিস্তানি হানাদার সেনারা করেছে আর তাদের সহযোগিতা করেছে এদেশের কুলাঙ্গাররা। এসব কুলাঙ্গারদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ স ম আব্দুল রহিম পাকন, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী, বীরমুক্তিযোদ্ধা চন্দন কুমার চক্রবর্তী, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হাবিব, সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি আব্দুল মতীন খান, ডিডিএলজি সাইফুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল্লা আল মামুন, শরীফ আহমেদ, মাহফুজা আকতার, বাসস প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম সুইট, আঞ্চলিক পাসপোর্ট কর্মকর্তা মাজহারুল হক, জেল সুপার নসির উদ্দিন প্রধান, বিসিকের ডিজিএম রফিকুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রোস্তম আলী হেলালী, জেলা কালচারাল অফিসার মারুফা মঞ্জুরী খান সৌমি, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিদা আক্তার প্রমুখ।
দিবসটি উপলক্ষে সন্ধ্যায় দুর্জয় পাবনা প্রদীপ প্রজ¦ালন ও রাত ১০টায় প্রতীকী ব্লাক আউট কর্মসূচি পালিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগ দিবসটি উপলক্ষে কর্মসূচি পালন করে।
নাটোর : নানা আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় নাটোরে গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এটি এম মাঈনুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার উপপরিচালক আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) নূর আহম্মেদ মাসুম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম নবী, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জজ কোর্টের পিপি এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, নাটোর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারাজী আহম্মদ রফিক বাবন, শিক্ষাবিদ সুবিধ কুমার মৈত্র, মুক্তিযোদ্ধা মকছেদ আলী মোল্লা প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘোষণায় ও নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে আমরা জয়লাভ করি।
১৯৭১ এর ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যার নৃশংসতা ছিল ভয়াবহ। ২৫ মার্চ কাল রাতে অসহায় বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি হায়েনারা ঝাঁপিয়ে পড়ে অসংখ্য বাঙালিকে হত্যা করে। তারা সারা রাত ধরে হত্যাযজ্ঞ চালায় এদেশের নিরীহ সাধারণ মানুষের ওপর। তাই ২৫ মার্চ রাতটিকে কালরাত হিসাবে পালন করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়