তুরাগ : মাদক কারবারির হাতে ছুরিকাহত এসআই

আগের সংবাদ

বাজারে ক্রেতার নাভিশ্বাস

পরের সংবাদ

ছাত্রলীগের মানববন্ধন : পাকিস্তানকে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে

প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঢাবি প্রতিনিধি : ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী, বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। গতকাল শনিবার দুপুর একটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ।
গণহত্যার সাংবিধানিক এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিদান, গণহত্যা অস্বীকৃতি আইন প্রবর্তন ও পাকিস্তানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা প্রার্থনা এবং যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবিরকে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করাসহ তিন দফা দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এবং সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। এ সময় ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানকে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে উল্লেখ করে বলেন, গণহত্যার বিষয়টি বাংলাদেশ সংবিধানে আলাদা একটি অনুচ্ছেদ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হোক। আমরা যখন দেশীয় আইনে এটি নিশ্চিত করতে পারব তখন আন্তর্জাতিক আইনে নিশ্চিত করা আমাদের জন্য সহজ হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাদ্দাম হোসেন বলেন, ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ২১ ফেব্রুয়ারিকে যেভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি; মঙ্গল শোভাযাত্রার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করতে পেরেছি; একই সঙ্গে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হচ্ছি, বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করে ছাড়বে।
এ সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরকে আইনগতভাবে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত রয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। যেভাবে জার্মানির গেস্টাপো বাহিনী রাজনীতি করার সুযোগ পায় না, তেমনি জামায়াত-শিবিরকে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করার সময় এসেছে।
শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, আজকে স্বাধীনতার এত বছর পরেও আমাদের অত্যন্ত লজ্জার সঙ্গে দেখতে হয় এখনো কিছু কুলাঙ্গার, সেই পাকিস্তানি তাঁবেদার, দেশবিরোধী অপশক্তি আমাদের একাত্তরের সেই মহান মুক্তিযুদ্ধকে ‘গণ্ডগোল’ বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে।
আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যারা এই কথা বলে তাদের জন্মের মধ্যেই গণ্ডগোল রয়েছে। যারা একাত্তরের হত্যাকাণ্ডকে অস্বীকৃতি জানায় তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই রাষ্ট্রীয়ভাবে আইন প্রণয়ন করতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়