সিপিডির সংবাদ সম্মেলন : নবায়নযোগ্য জ¦ালানি নীতি বাস্তবায়নে বড় বাধা দুর্নীতি

আগের সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্মার্ট বাংলাদেশ : মতিয়া চৌধুরী, সংসদ উপনেতা

পরের সংবাদ

‘১০০ টাকা বাড়লে কমে ১০ টাকা’

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে রমজানের প্রথমদিনে খুচরা বাজারে কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। উৎপাদনকারী ফার্মগুলো ক্রমাগত বাড়তে থাকা ব্রয়লার মুরগির নতুন দাম নির্ধারণ করেছে। নির্ধারিত এ দাম অনুযায়ী পাইকারিতে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হবে ১৯০-১৯৫ টাকা দরে। তবে ভোক্তা পর্যায়ে এ দাম কতো হবে তা এখনো জানা যায়নি।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪৫-২৫০ টাকা দরে। দুয়েকদিন আগেও যা বিক্রি হয়েছে ২৭০-২৮০ টাকায়। এদিকে কিছুটা কমে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৩৬০ টাকা কেজি দরে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, ১০০ টাকা বাড়লেও কমানো হয়েছে ১০ টাকা। এতে কোনো লাভ হবে না। তবে মুরগির দাম কিছুটা কমার কারণ হিসেবে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, মুরগির চাহিদা কমে গেছে। তাই দাম কিছুটা কমেছে। পাইকারিতে ১৯০-১৯৫ টাকায় মুরগি বিক্রি করলেও খুচরায় ২৩০-২৪০ টাকা কেজি দরে কিনতে হবে ভোক্তাদের।
এদিকে গরু ও খাসির মাংস এবং মাছের বাজারে কোনো স্বস্তি নেই। গরু বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় আর খাসির মাংসের কেজি ১০৫০-১১০০ টাকা। মাংসে দামের উত্তাপে স্বল্প আয়ের ভোক্তারা মাছে স্বস্তি খোঁজার চেষ্টা করলে কোনো সুখবর নেই। গত রোজার শুরুতে রুই ও কাতলা বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। কিন্তু এবার প্রতি কেজি ৩০০ টাকা থেকে ৩২০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। প্রতি কেজি পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রোজার প্রথম দিন গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে অভিযানে নামে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। সকাল সাড়ে ১০টায় এ বাজারের কিচেন মার্কেটে অভিযান শুরু করেন সংস্থার সদস্যরা। অভিযানের নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। তিনি বলেন, রমজানে কিছু বিশেষ সবজির দাম বেড়ে যায়। সে বিষয়ে আমরা তদারকি করব। এছাড়া মুদি সামগ্রী ও মুরগির নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে কিনা সেটি তদারকি করব।
এই বাজারে বাজার করতে আসা সাদরুল হাসান বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ল ১০০ টাকা, আর কমাল ১০ টকা। এই একটু কমানোতে আমাদের কোনো লাভ নেই। রোজকে সামনে রেখে বিভিন্ন অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানো হয়। নি¤œ-আয়ের মানুষরা কোনো রকমে বেঁচে আছি।
ডলার সংকট ও পণ্য আমদানি বন্ধসহ নানা অজুহাতে রমজানের আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কয়েক দফা বাড়িয়ে দেয়া হয় বলে মত দিয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। ফলে বাড়তি দামের বোঝা বইতে গিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে নি¤œআয়ের মানুষরা।
এদিকে রমজান শুরু হতেই সবজির বাজারের দামও আরো চড়ে গেলো। দেশি ও হাইব্রিড শসা যথাক্রমে ৮০ ও ৬০ টাকাতে বিক্রি হলেও তার দাম চাওয়া হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। রমজানের একদিন আগে লেবুর দাম প্রতি হালি ৪০ টাকা হলেও গতকাল বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা। বেগুন প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ২৫ টাকা, পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা কেজি দরে। সবজি বিক্রেতারা জানান, শসা আর বেগুনের দাম বেড়েছে। গত (বৃহস্পতিবার) বেগুন ৬০ টাকা কিনে ৭০ টাকায় বিক্রি করে। গতকাল পাইকারিতেই কিনেছি ৮০ টাকায়। ফলে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আর ৫৫-৬০ টাকায় কেনা শসা ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি করেছে। গতকাল শসা পাইকারিতেই কিনতে হয়েছে ৭০ টাকায়। পাইকারিতে দাম বেশি বলেই খুচরা পর্যায়েও বেশি বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানান খুচরা দোকানিরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়