কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর নারিন্দার এক বাসায় মালেকা জুবায়দা রহমান সুমি (৩০) নামে এক স্কুল শিক্ষিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছেন তার স্বামী আ. কাইয়ুম। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে গেন্ডারিয়া থানাধীন নারিন্দা কোম্পানীগঞ্জ ২৪/২ নম্বর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় বিকাল সোয়া ৩টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্বামীবাগের একটি কিন্ডারগার্টেনে প্রায় ১৬ বছর ধরে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে ছিলেন সুমি। আর কাইয়ুম গাড়ির এসি মেরামতের কাজ করেন ও পাশাপাশি এসির ব্যবসাও রয়েছে তার। হাসপাতালে তার স্বামী আ. কাইয়ুম জানান, কোম্পানীগঞ্জে তাদের তিন তলা বাড়ির নিচ তলায় থাকেন তারা। সুমি তার ২য় স্ত্রী। ১ম স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তার মেয়েই ৬ মাস আগে তারই স্কুলের শিক্ষিকার সঙ্গে তার বাবা কাইয়ুমের বিয়ে দেন। তিনি আরো বলেন, কয়েক বছর আগে কইয়ুম তার ১ম স্ত্রীর খালার কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। নিয়মিত সেই টাকার সুদ পরিশোধ করেন তিনি। তবে গতকাল বেলা ১১টার দিকে তার ১ম স্ত্রীর বড় ভাইয়ের বউ ও বড় বোন তাদের বাসায় এসে সেই টাকার জন্য গন্ডগোল করে ও কাইয়ুমকে বকাঝকা করে। এসব দেখে কিছুক্ষণ পর সুুমি নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। তখন কাইয়ুম তাকে অনেক ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখেন, ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন সুমি। সঙ্গে-সঙ্গে তাকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তের জন্য গেন্ডারিয়া থানায় জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।