সিপিডির সংবাদ সম্মেলন : নবায়নযোগ্য জ¦ালানি নীতি বাস্তবায়নে বড় বাধা দুর্নীতি

আগের সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্মার্ট বাংলাদেশ : মতিয়া চৌধুরী, সংসদ উপনেতা

পরের সংবাদ

ঠাকুরগাঁওয়ে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বোরো ক্ষেতে পানি, স্বস্তিতে কৃষক

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : দেশের উত্তরের কৃষিনির্ভর জনপদ ঠাকুরগাঁও। পর্যান্ত পানি না থাকায় জেলার কৃষকরা সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে উঁচু জমিগুলোতে পানি না থাকায় ধানক্ষেত ফেটে চৌচির হতে দেখা যায়। এতে করে মারাত্মক সমস্যায় পড়েন এ অঞ্চলের কৃষকরা। বেশ কিছু কৃষক শ্যালো মেশিন ও গভীর নলকূপের সাহায্যে ক্ষেতে পানি দিলেও কুলাতে পারছিলেন না। এ অবস্থায় অবশেষে ২-৩ দিনের বৃষ্টির ফলে বোরো ক্ষেতে পানি জমেছে। বিশেষ করে উঁচু কৃষি জমিতে পানি জমায় কৃষকের মনে স্বস্তি এসেছে। ফলে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তারা।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপর, চিলারং, নারগুন, বেগুনবাড়ি, খোঁচাবাড়ি, দানারহাট, বরুনাগাঁও, শীবগঞ্জ, রহিমানপুর, জামালপুর, পীরগঞ্জ, হরিপুর উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় কৃষকরা বোরো ধান পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন। দীর্ঘদিন পানির অভাব থাকলেও গত এক সপ্তাহে ২-৩ দিন বৃষ্টির পানিতে তারা নতুন করে বোরোতে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন।
সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের বোচাপুকুর এলাকার কৃষক মো. মোমিনুল ইসলাম জানান, প্রত্যেক বছরের মতো এ বছর তিনি ৪ একর (৪০০ শতক) জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছেন। কিছুদিন শ্যালো ও গভীর নলকূপের সাহায্যে পানি দিলেও খরচ বেশি হওয়ায় বিপাকে পড়েন। অবশেষে বেশ কয়েক দিনের বৃষ্টির ফলে উঁচু জমিগুলোতেও পানি জমায় তিনি দুশ্চিন্তামুক্ত হয়েছেন।
সদর উপজেলার ঢোলারহাট গ্রামের কৃষক ধনঞ্জয় বর্মন জানান, এ বছর আড়াই একর (২৫০ শতক) জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছেন। বৃষ্টির পানির অভাবে বোরো ক্ষেত শুকিয়ে যাওয়ায় তার দুশ্চিন্তার যেন শেষ ছিল না। ২-৩ দিনের বৃষ্টিতে বোরোর ক্ষেতে পর্যান্ত পানি জমেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে বোরো ধানের আবাদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ বছর ঠাকুরগাঁওয়ে ৬০ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এ মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৪০ টন। যা গত বছর নির্ধারণ করা হয় ৫৯ হাজার ১১৪ হেক্টর। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৭৩ টন।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ জেলা অন্যান্য ফসলের ন্যায় ধানের জন্যও বিখ্যাত। প্রচুর পরিমাণে ধান এ জেলায় উৎপাদন হয়। প্রত্যেক বছর বোরো মৌসুমে কৃষকদের যাবতীয় পরামর্শ ও সেবা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রদান করা হয়। এ বছরও দেয়া হয়েছে। তবে পানির সামান্য সমস্যা থাকলেও ২-৩ দিনে জেলায় প্রায় ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হওয়ায় উঁচু-নিচু ক্ষেতে পানি জমেছে। বৃষ্টির পানিতে বোরোর পাশাপাশি ভুট্টা, শাকসবজি, লিচু, আমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাষিদের উপকার হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত ধান উৎপাদন হবে এবং কৃষকরা এ বছরও ধানের ন্যায্যমূল্য পাবেন বলে প্রত্যাশা করছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়