সিপিডির সংবাদ সম্মেলন : নবায়নযোগ্য জ¦ালানি নীতি বাস্তবায়নে বড় বাধা দুর্নীতি

আগের সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্মার্ট বাংলাদেশ : মতিয়া চৌধুরী, সংসদ উপনেতা

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামের বাজার : রোজা ঘিরে আরেক দফা বাড়ল ভোগ্যপণ্যের দাম

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : রমজানকে ঘিরে চট্টগ্রামে আরেক দফা বেড়েছে ভোগ্যপণ্যের দাম। ইফতারসামগ্রীর উপকরণের মধ্যে কাঁচাবাজারে যেমন বেড়েছে লেবু, শসা, বেগুনসহ প্রয়োজনীয় সবজির দাম, তেমনি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ছোলা, ডাল, মাছ, মাংসসহ অন্য পণ্যের দাম। অথচ এবার বাংলাদেশে রেকর্ড পরিমাণ ছোলার আমদানি হয়েছে বলেই ব্যবসায়ীদের সূত্রে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার প্রথম রোজার দিন নগরীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইফতারের অনুষঙ্গ হিসেবে পরিচিত গাজর, বেগুন, শসার দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সেইসঙ্গে ছোলা কেজিতে ১০ টাকা ও ডিমের ডজনে ১০ টাকা বেড়েছে। একইসঙ্গে রোজাকে ঘিরে সপ্তাহের ব্যবধান মুরগির কেজিতে ১৫ ও গরুর মাংসের কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা।
রোজায় লেবুর চাহিদাকে পুঁজি করে চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে লেবুর হালিতে বেড়েছে ২০ টাকা। গত সপ্তাহে মাঝারি ও ছোট মানের লেবু হালিপ্রতি ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে বড় লেবু হালিতে ২০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি গাঁজর ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। গত সপ্তাহে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া শসার দাম ঠেকেছে ৬০ টাকায়। গোল বেগুন কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা, টমেটো ও পেঁপের কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া বাজারে প্রতি কেজি বরবটি ৮০, শিম ৬০, পটোল ৮০, মুলা ৫০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, ফুলকপি ৫০, ঢেঁড়শ ও তিত করলা ৯০, লতি ৬০, চিচিঙ্গা ৬০, ঝিঙ্গা ৮০ ও কাঁচাকলা হালি প্রতি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নগরের বক্সিরহাট কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মো. সিকান্দার বলেন, শীতের মৌসুম শেষ। তাই বাজারে এখন শীতকালীন সবজি কম। পাশাপাশি রমজানে গাজর, বেগুন, শসা ও লেবুর চাহিদা বাড়ে। সে হিসেবে সরবরাহ কিছুটা কম। তাই দাম কিছুটা বেড়েছে।
এদিকে ইফতারে আরেকটি প্রয়োজনীয় উপাদান ছোলা। সপ্তাহের ব্যবধানে পণ্যটির দাম বেড়েছে ১০ টাকা। বর্তমানে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থকে ৯৫ টাকায়। তবে চিনি বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দরেই। বর্তমানে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়। প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলও বিক্রি হচ্ছে আগের ১৮৫ টাকা দরে। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে মোটা দানার মসুর ডাল ১১০ টাকা ও ছোট দানার মসুর ডাল ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কেজিতে ৩টাকা বেড়ে প্রতি কেজি খোলা আটা ৫৮ টাকা ও প্যাকেটজাত আটা ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ এবং দেশি রসুন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি লিটার রুহ আফজা বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকায়।
এদিকে অস্থির মাছ-মাংসের বাজারও। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৬৫ টাকা, কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে সোনালি মুরগি ৪০০ টাকা, কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে দেশি মুরগি ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি ডিমের ডজনে ১০ টাকা বেড়ে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে হাড়ছাড়া গরুর মাংসের ৯০০ ও হাড়সহ গরুর মাংস ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে খাসির মাংস আগের ১১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে স্বস্তি মিলছে না মাছের বাজারেও। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে রুই ও কাতলা মাছ ৩২০ টাকা, কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে পাঙাশ ১৮০ ও তেলাপিয়া ২২০, কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে কই মাছ ৩০০, গলদা চিংড়ি ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে শোল ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাবর কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এস এম নাজির হোসাইন বলেন, রোজা আসলে অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতা করে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ায়। আর সাধারণ ভোক্তারা কষ্ট পাচ্ছে। তাই শুধু জরিমানা নয়, আমদানি থেকে খুচরা পর্যায় পর্যন্ত কঠোর তদারকি হওয়া উচিত। অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দেয়া উচিত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়