সিপিডির সংবাদ সম্মেলন : নবায়নযোগ্য জ¦ালানি নীতি বাস্তবায়নে বড় বাধা দুর্নীতি

আগের সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্মার্ট বাংলাদেশ : মতিয়া চৌধুরী, সংসদ উপনেতা

পরের সংবাদ

গ্রেপ্তার ১৭২ : ফ্রান্সে বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ফ্রান্সে পেনশনের বয়সসীমা বাড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসসহ বিভিন্ন শহরে এ ধরনের সংঘর্ষ ঘটেছে। বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, সরকারের প্রস্তাবিত অবসর নীতিমালার বিরুদ্ধে ফ্রান্সে চলমান বিক্ষোভে এটিই সবচেয়ে বড় সহিংসতার ঘটনা।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্যারিসে প্রায় ১৪০টি জায়গায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া দেশজুড়ে সংঘর্ষের ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর ১৪৯ সদস্য আহত হয়েছেন। কমপক্ষে ১৭২ জন সহিংসতাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু প্যারিস থেকেই গ্রেপ্তার হয়েছেন ৭২ জন।
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় ১৫০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তাছাড়া বিক্ষোভকারীরা অগ্নিসংযোগও করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছোড়েন ও লাঠিপেটা করেন। পুলিশের ওপর হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
বিশ্লেষকদের দাবি, গত বুধবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ অবসরকালীন সংস্কারকে জরুরি বলার পর বিক্ষোভকারীরা আরো ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। সেদিন ম্যাক্রোঁ বলেন, জনপ্রিয়তা যদি কমেও যায়, তবুও তিনি এ সংস্কার বাস্তবায়নে প্রস্তুত রয়েছেন। রবিবার এক জরিপে দেখা যায়, ম্যাক্রোঁর জনপ্রিয়তা এরই মধ্যে ২৮ শতাংশ কমে গেছে।

জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝিতে সরকারি কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার বয়স বাড়ানোর উদ্যোগ নেন ম্যাক্রোঁ। অবসরের বয়স ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৪ করার পরিকল্পনা হয় ও পার্লামেন্টে ভোটাভুটি ছাড়াই এ সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়। এর প্রতিবাদে তিন মাস ধরে ফ্রান্সজুড়ে বিক্ষোভ চলছে।
এদিন বিক্ষোভকারীরা দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় বর্দো শহরের পৌর ভবনের বারান্দায় আগুন ধরিয়ে দেন। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সেখানে সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। ব্রিটিশ রাজা হিসেবে এটিই চার্লসের প্রথম বিদেশ সফর। এদিকে, বিক্ষোভকারীরা নতুন করে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে রাজা চার্লস আদৌ ফ্রান্সে যাবেন কি না তা নিয়ে ধোয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়