মানবতাবিরোধী অপরাধ : দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে চারজনের আপিল

আগের সংবাদ

ঝিকরগাছা : বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুল পরিদর্শন করলেন উপসচিব

পরের সংবাদ

৪ হাজার ৬০১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের ৯টি উন্নয়ন প্রকল্প গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে নতুন প্রকল্প ৪টি। বাকি ৫টি প্রকল্পই সংশোধিত। এই ৯ প্রকল্পে নতুন করে ১ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা ব্যয় অনুমোদন করা হয়েছে। ফলে ৯ প্রকল্পে মোট ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ৪ হাজার ৬০১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ছয়টি প্রকল্পে ৩ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা ঋণ ও অনুদান হিসেবে দিচ্ছে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি), জাইকা, ইএনডিপি, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও বিশ্বব্যাংক।
গতকাল মঙ্গলবার চলতি অর্থবছরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) দশম সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে জননিরাপত্তা বিভাগের একটি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি, স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের একটি, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একটি এবং জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের প্রকল্প রয়েছে একটি।
জননিরাপত্তা বিভাগের ‘সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পে ব্যয় বাড়ছে ২২৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এটি মূল ব্যয়ের চেয়ে ২৮৮ দশমিক ৫০ শতাংশ বেশি। প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়াবে ৩০৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। প্রকল্পটিতে ৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা অনুদান হিসেবে দিচ্ছে জাপান।
জননিরাপত্তা বিভাগের প্রকল্প সংশোধনী থেকে জানা গেছে, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে ২০১৯ সালে একটি প্রকল্প নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল পুলিশের জন্য ৩৫টি বিশেষ যানবাহন কেনা। এজন্য ব্যয় ধরা হয় ৭৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। বাস্তবায়ন মেয়াদ ধরা হয় ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। দুই বছর মেয়াদি প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ায় পরবর্তী সময়ে আরো এক বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়। তাতেও শেষ না হওয়া বাস্তবায়ন মেয়াদ আরো এক বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের ‘প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের তৃতীয় সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়। প্রকল্পে ব্যয় বাড়বে ১৭৪ কোটি টাকা। প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ৯২৮ কোটি টাকা। জাইকার ৮০৭ কোটি টাকা ঋণে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল)।
এছাড়া দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির দ্বিতীয় সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পটি অনুমোদন পেয়েছে। এতে ব্যয় ৩৭ কোটি ৪৭ টাকা বেড়ে মোট ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ১১১ কোটি টাকা।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পে ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ঢাকা কারিগরি শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পে মূল অনুমোদিত ব্যয় ধরা হয় ৮৬ কোটি টাকা। প্রকল্পটির প্রথম ও দ্বিতীয় সংশোধনীতে ৯৮ কোটি টাকা ব্যয় অনুমোদন করা হয়। এখন তৃতীয় সংশোধন প্রস্তাবে ২ কোটি টাকা কমিয়ে ৯৬ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হয়। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন করা হয়েছে। প্রকল্পটির মূল অনুমোদিত ব্যয় ছিল ১ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। এখন সংশোধনী প্রস্তাবে ৫৮৮ কোটি টাকা বাড়িয়ে ২ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রকল্পটিতে ২ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।
নতুন ৪টি প্রকল্প : দেশে ২৫০টি সেতুর সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণের সমীক্ষা, দ্বিতীয় পর্যায়’ শীর্ষক প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ কোটি টাকা। সংসদ সচিবালয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ১১২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গণপূর্ত অধিদপ্তর। এতে ব্যয় হবে ৯৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ‘প্রজেক্ট ফর দি ইম্প্রুভমেন্ট অব ইক্যুইপমেন্ট ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৭৪ কোটি টাকা দেবে জাইকা। আর বাকি ২৪ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ করা হবে।

বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পে তৃতীয় ধাপে ৪২৬ কোটি টাকা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকার দেবে ১৫৭ কোটি টাকা। বাকি ২৬৮ কোটি টাকা ইইউ এবং ইউএনডিপি দেবে ঋণ হিসেবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়