প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে বেশ কয়েক ধাপে কর্মী ছাঁটাইয়ের পদক্ষেপ নেয় মাইক্রোসফট। তবে তৃতীয় দফায় কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে টেক জায়ান্টির সাপ্লাই চেইন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) বিভাগে কর্মরত কর্মীদের কাজের ওপর। আমেরিকাভিত্তিক কম্পিউটার ম্যাগাজিন সিআরএনের তথ্যানুসারে চলতি বছরের শুরুতে মাইক্রোসফট ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের যে ঘোষণা দেয়, তৃতীয় মেয়াদে কর্মী ছাঁটাই ছিল এরই একটি অংশ। টেক জায়ান্টটির উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বজুড়েই তাদের কর্মী ছাঁটাই করেছে। যারা বিভিন্ন অফিস, বিভাগ ও দলগতভাবে কাজ করত। ওয়াশিংটন রাজ্য থেকে টেক জায়ান্টটি সম্প্রতি ৬৮৯ কর্মচারীকে বরখাস্ত করে। ফেব্রুয়ারিতেই মাইক্রোসফট তাদের ওয়াশিংটন অফিসকে ৬১৭ জন কর্মীকে ছাঁটাইয়ের কথা জানায়। একই মাসে প্রতিষ্ঠানটি এর ক্যালিফোর্নিয়া অফিসকেও ১০৮ কর্মীকে ছেড়ে দেয়ার কথা অবহিত করে।
প্রতিবেদন অনুসারে, জানুয়ারিতে মাইক্রোসফট তাদের ওয়াশিংটন অফিসকে জানায়, ৮৭৮ জন কর্মীকে ছাঁটাই করার মাধ্যমে এ প্রদেশের মোট কর্মীর সংখ্যা ২ হাজার ১৮৪-এ নিয়ে আসা হয়েছে। মাইক্রোসফটের এক কর্মীর লিংকডইন পোস্ট অনুসারে জানা যায়, সংস্থাটি এর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত অটোমেশন প্রকল্প ‘বনসাই’ বন্ধ করে দিয়ে গোটা দলটিকেই ছাঁটাই করেছে। মাইক্রোসফটের চেয়ারম্যান ও সিইও সত্য নাদেলা জানুয়ারিতে ঘোষণা দেন, ‘সংস্থাটি এক ধরনের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাবে, ফলে ২০২২-২৩ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক নাগাদ আমাদের সামগ্রিক কর্মীবাহিনী থেকে ১০ হাজার কর্মী হ্রাস পাবে।’ মাইক্রোসফটে বর্তমানে ২ লাখ ২০ হাজারের বেশি কর্মী রয়েছে। চলমান ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়াটি এর প্রায় ৫ শতাংশ কর্মীকে প্রভাবিত করেছে। সূত্র : বিবিসি
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।