কাগজ প্রতিবেদক : দুর্নীতি-লুটপাট করতেই সরকার পাতাল মেট্রোরেল প্রকল্প হাতে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। গতকাল শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
সরকারের সমালোচনা করে বুলু আরো বলেন, দেশে চারদিকে সংকট আর সংকট। ডলার সংকট আরো প্রকট হচ্ছে। এ সংকটের মধ্যে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) ২০ কিলোমিটার পাতালরেলের জন্য ৫২ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছেন। লুটপাটের উদ্দেশ্যে এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
৫২ হাজার কোটি টাকার পাতালরেলে রাষ্ট্রের কী উপকার হবে প্রশ্ন তুলে বুলু বলেন, এই ৫২ হাজার কোটি টাকা কৃষকদের মাঝে দিয়ে দেন, এই টাকা শ্রমিকদের মাঝে দিয়ে দেন, এ টাকা দিয়ে মিল-কারখানা করেন। তাতে অন্তত লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু আপনারা সেটা করবেন না। কারণ, এটা করলে তো আপনাদের লুটপাট করা হবে না। দেশ থেকে আওয়ামী লীগ নেতারা ১৪ লাখ কোটি টাকা কানাডা, দুবাই, আমেরিকায় পাচার করেছেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, একজন এমপি আপনার (প্রধানমন্ত্রী) বিশেষ সহকারী। উনি চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ১৭টি বাড়ির মালিক হয়ে গেলেন! মনে হয় যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ তাদের হাতে আছে। এভাবে কুইক রেন্টাল, রেন্টাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা লুট করে আওয়ামী পরিবারের লোকেরা আজকে বিশ্ব ধনীদের খাতায় নাম লিখিয়েছেন বিদেশে। পৃথিবীর কোনো দেশ নাই যে, প্রকল্পের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেউ মামলা করতে পারবে না। সরকার এজন্য ইনডেমনিটি বিল পাস করিয়েছে। সরকার কোটি কোটি টাকা চুরি করতে পারবে, আর এই চুরির বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা অভিযোগ করা যাবে না! তিনি বলেন, এ অবস্থা থেকে উত্তরণে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আন্দোলনেই এই সরকারকে হটিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) অধীনে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাতাল মেট্রোরেল প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধন কর্মসূচি হয়। নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন বেপারীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।