কেরানীগঞ্জের দগ্ধ সেই গৃহবধূর মৃত্যু

আগের সংবাদ

অনির্বাচিত সরকার এলে সংবিধান অশুদ্ধ হবে : অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

লিডো আয়োজিত সংলাপ : শিশু পাচার রোধে ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার’ বাস্তবায়ন দাবি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সরকার এবং বিভিন্ন এনজিও সারাদেশে নানা পদক্ষেপ নিলেও নারী ও শিশু পাচার থামছে না। এমনকি প্রতিবছর কতজন নারী ও শিশু, কোন রুট দিয়ে পাচার হচ্ছে তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য কেউ সংরক্ষণ করছে না। ফলে নারী ও শিশু পাচার প্রশ্নে এখনো আমরা অন্ধকারেই রয়েছি। এর থেকে উত্তরণ পেতে ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ‘কোনো শিশু পথে থাকবে না’ ঘোষণার বাস্তবায়ন দরকার। পাশাপাশি পথশিশুদের জন্মনিবন্ধনের আওতায় এনে পাচার প্রতিরোধে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তাহলে অনেকাংশেই শিশু পাচার রোধ করা সম্ভব হবে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশে শিশু পাচার প্রতিরোধ : সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার ভূমিকা’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। শিশু পাচার নিয়ে কাজ করা লোকাল এডুকেশন এন্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (লিডো) এ সংলাপের আয়োজন করে। সংগঠনটি ‘শিশু পাচার বন্ধ করি, সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি’ প্রতিপাদ্যে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গেøাবাল ফান্ড ফর চিলড্রেনের (জিএফসি) আর্থিক সহায়তায় শিশু পাচার প্রতিরোধে একটি প্রকল্পও বাস্তবায়ন করছে।
লিডোর নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন শিশু অধিকারবিষয়ক সংসদীয় ককাস এবং আইন-বিচার ও সংসদবিষয়ক সংসদীয় কমিটির সদস্য গেøারিয়া ঝর্ণা সরকার। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অপরাজেয় বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানু, অভিনেত্রী তানভিন সুইটি প্রমুখ। সংলাপ শেষে পথশিশুরা পাচারের উপর পথনাটিকা প্রদর্শন করে।
সংলাপে বক্তারা বলেন, পাচারকারীদের প্রলোভনের শিকার হচ্ছে দারিদ্রের নিষ্পেষণে জর্জরিত ছিন্নমূল, ভবঘুরে শিশু ও নারীরা। প্রেম ও বিয়ে এবং আয়-রোজগারের ফাঁদ, এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক, লাইকি ও ফেসবুকে তারকা হওয়ার স্বপ্নেও পাচার হচ্ছে অনেকে।

একটি বেসরকারি সূত্রমতে, বাংলাদেশে প্রতিবছর ৩০ হাজার নারী ও শিশু দালালের খপ্পড়ে পড়ে পাচার হচ্ছে। এদের মধ্যে ছেলে শিশুর সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার এবং মেয়ে শিশু প্রায় ১০ হাজার। আর গোটা বিশ্বে যত মানব পাচারের ঘটনা ঘটে তার ৭০ শতাংশের শিকার নারী ও শিশু। অর্থ্যাৎ বাংলাদেশ থেকে কত নারী ও শিশু পাচার হচ্ছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও সংখ্যাটা অনেক। এই সমস্যা সমাধানে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইন-বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সদস্য গেøারিয়া ঝর্ণা সরকার বলেন, শিশু থেকে বৃদ্ধা সবার জন্যই কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিশু পাচার প্রতিরোধেও সরকার নিজস্বভাবে এবং এনজিওদের সহযোগিতায় তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হচ্ছে, এটি কিন্তু শিশুদের ঝরেপড়া রোধে কাজ করছে। স্কুলে খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাতে শিশুদের স্কুলের প্রতি আগ্রহ বাড়ে।
তিনি আরো বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠানে পথশিশুদের জন্য নৈশ স্কুল পরিচালিত হচ্ছে। পথশিশুদের আগ্রহ বাড়াতে সেখানেও খাবারের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে যারা পাচার হয়েছে, তথ্য পাওয়ার পর অনেককেই ফিরিয়ে এনে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে। প্রত্যেক উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম করা হচ্ছে, শিশুদের কথা চিন্তা করেই। গেøারিয়া ঝর্ণা সরকার বলেন, ঝরেপড়া শিশুদের সম্পদে পরিণত করতে সরকার সর্বোচ্চ আন্তরিক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়