চট্টগ্রামে ফয়েস লেক বেসক্যাম্প উদ্বোধন

আগের সংবাদ

কাটবে যেসব সংকট : আইএমএফের ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ

পরের সংবাদ

সিএন্ডএফ এজেন্টদের কর্মবিরতি : চট্টগ্রাম কাস্টমসে ৮ ঘণ্টা বন্ধ শুল্কায়ন কার্যক্রম

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : লাইসেন্স বাতিল ও অর্থদণ্ড আরোপের অযৌক্তিক বিধি বাতিল, আইনানুগভাবে পণ্যমূল্য নির্ধারণ, লাইসেন্স হস্তান্তর সহজীকরণসহ ৮ দফা দাবিতে ৮ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করছে চট্টগ্রাম কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন। এই ৮ দফা দাবিতে দুদিনের কর্মবিরতির কর্মসূচি গতকাল সোমবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়। কর্মসূচি চলাকালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর চেয়ারম্যান দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করে সংগঠনটি। এদিকে ধর্মঘট কর্মসূচির কারণে দেশের সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আহরণকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে বন্ধ ছিল শুল্কায়ন প্রক্রিয়ার যাবতীয় কার্যক্রম। এ সময় পণ্য ছাড়ের জন্য কোনো বিল অব এন্ট্রি দাখিল না হওয়ায় কাস্টমস হাউসে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা বন্ধ ছিল।
চট্টগ্রাম কাস্টমসসহ দেশের ৪২টি শুল্ক স্টেশনে একযোগে শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ রেখে স্টেশনের সামনে বিক্ষোভ করেন ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়ার্ডিং (সিএন্ডএফ) এজেন্ট এসোসিয়েশনের মালিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের আট দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- আমদানি ও রপ্তানিকারকের বকেয়া পাওনার দায় চাপিয়ে সিএন্ডএফ লাইসেন্স নবায়ন না করার বিধি রহিত করা, উত্তরাধিকারীর কাছে লাইসেন্স হস্তান্তর সহজীকরণ, লাইসেন্স বাতিল ও অর্থদণ্ড আরোপের অযৌক্তিক বিধি বাতিল, তথাকথিত ‘মূল লাইসেন্স‘ বাতিল হলে রেফারেন্স লাইসেন্স বাতিলের বিধি রহিতকরণ। তাছাড়া আমদানি ও রপ্তানিকারকের দায় সিএন্ডএফ এজেন্টদের ওপর না চাপানো, আইনানুগভাবে পণ্যমূল্য নির্ধারণ করা এবং অযথা জরিমানা আরোপের বাণিজ্য প্রতিবন্ধক আদেশ বাতিল।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম (বিলু) ভোরের কাগজকে বলেন, সিএন্ডএফ এজেন্টদের মৌলিক অধিকার পরিপন্থি কিছু বিধি-বিধান সংশোধন, পণ্য চালান শুল্কায়নকালে পণ্যের এইচএস কোড ও সিপিসি নির্ধারণে প্রণীত বিভিন্ন বিতর্কিত আদেশ বাতিলের দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের। কিন্তু এসব বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কোনো পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাইনি। দাবি আদায়ে বাধ্য হয়ে দুদিনের কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়া হয়। কর্মসূচি চলাকালে এনবিআর চেয়ারম্যান দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি আলোচনার কথা রয়েছে। ওই আলোচনায় ফলপ্রসূ কোনো সিদ্ধান্ত না এলে ৭ ফেব্রুয়ারির পর আমাদের কর্মসূচি শুরু হবে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ মাহফুজ আলম বলেন, ‘শুল্কায়ন বন্ধ থাকলেও কাস্টমসে অভ্যন্তরীণ দাপ্তরিক কার্যক্রম পুরোদমে চলেছে। এনবিআর আলোচনার জন্য চিঠি দেয়ায় বিকলে সিএন্ডএফ এজেন্টরা কর্মসূচি স্থগিত করেন।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি এনবিআরকে চিঠি দেয় সংগঠনটি। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, এনবিআর গত বছরের জুলাই মাসে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করে। এ সময় এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দাবির পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর কর্মকর্তারা বিধিমালা সংশোধনের বিষয়ে সংগঠনের নেতাদের আশ্বস্ত করেন। অথচ এ বিষয়ে ফেডারেশনের নেতারা এনবিআরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেও কার্যকর কোনো সাড়া পায়নি। তাতে সারা বাংলাদেশের সিএন্ডএফ এজেন্টদের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। গত ২৮ জানুয়ারির মধ্যে বিধিবিধান সংশোধনের দাবি জানিয়েছিল সংগঠনটি। কিন্তু সাড়া না পেয়ে ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি চট্টগ্রামসহ দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনে কর্মবিরতি পালন করা হবে বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়