চট্টগ্রামে ফয়েস লেক বেসক্যাম্প উদ্বোধন

আগের সংবাদ

কাটবে যেসব সংকট : আইএমএফের ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ

পরের সংবাদ

ঋণের ৪ গুণ শোধ করেও দুই মামলার আসামি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : মাসিক ৫ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেয়ার চুক্তিতে ৮০ হাজার টাকা ধার নেন লতিফুল আলম ওরফে শহিদুল। এ টাকায় একটি ইজিবাইক কেনেন শহিদুল। ইজিবাইকটি কিনেও দেন ঋণদাতা। ২০১২ সালের এপ্রিলে টাকা হাতবিনিময় হয়। চুক্তি অনুযায়ী গত ৬ বছরে ৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন। এখন আরো ৮ লাখ টাকা দাবি করছেন পাওনাদার। টাকার দাবিতে ২০১৮ সালে ঝিনাইদহ আদালতে পৃথক দুটি মামলাও করেন পাওনাদার আনোয়ার হোসেন মোল্লা।
আনোয়ার হোসেন কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন ঈশ্বরবা গ্রামের জামতলা পাড়ার মৃত ইসমাইল মোল্লা ওরফে খাদেম মোল্লার ছেলে। ঋণগ্রহীতা শহিদুল কালীগঞ্জ পৌরসভার ফয়লা গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে।
নিরুপায় শহিদুল মামলা থেকে মুক্তি পেতে রাজনৈতিক ও সমাজপতিদের কাছে বিচার চেয়ে বেড়াচ্ছেন। সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। মামলার পর ২০২১ সালের শুরুতে সামাজিক বৈঠকের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা ঋণদাতার হাতে তুলে দেন শহিদুল। আরো ২০ হাজার টাকা দিলে মামলা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু পরবর্তীতে মামলা না তুলে আরো ১ লাখ টাকা দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় মামলা এখনো চলমান।
ঋণদাতা আনোয়ার হোসেন বলেন, টাকা লেনদেনের বিষয়টি অনেক পুরনো। এখন বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এ নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না।
আনোয়ার হোসেনের বড় ভাই মতিয়ার রহমান বলেন, দুজনই আমার কাছের মানুষ। শহিদুল বিষয়টি নিয়ে চরম হতাশার মধ্যে রয়েছে। আমার ভাই আনোয়ার হোসেন শহিদুলের ওপর অন্যায় করছে।
উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া সুদভিত্তিক অর্থ লেনদেন অবৈধ। সেটা ব্যক্তি অথবা সংগঠন যাই হোক। তবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কেউ যদি হেনস্তা বা প্রতারণার শিকার হয় তাহলে আবেদন করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার নিয়ম রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়