‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান স্মরণে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আয়োজন

আগের সংবাদ

মূল্যস্ফীতির চাপে সাধারণ মানুষ : জীবনযাত্রার ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়েছে, কর্মসংস্থান ও আয় বাড়ানোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের

পরের সংবাদ

সকালে সাদ ও যোবায়েরপন্থিদের মুখোমুখি অবস্থান : বিকালে বিশ্ব ইজতেমার মাঠ হস্তান্তর

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

টঙ্গী প্রতিনিধি : টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা দ্বিতীয় পর্ব শেষে প্রশাসনের কাছে মাঠ হস্তান্তর করেছেন মাওলানা সাদ অনুসারীরা। গতকাল বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টায় বিশ্ব ইজতেমা দ্বিতীয় পর্বের মাঠের জিম্মাদার ইঞ্জিনিয়ার মহিবুল্লাহ গাজীপুরের জেলা প্রশাসক মো. আনিসুর রহমানের কাছে মাঠ বুঝিয়ে দেন। বৈশ্বিক মহামারি ও করোনার কারণে গত দুই বছর ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়নি। দুই বছর পর এবার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয় ১৩, ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি জুবায়ের পন্থিদের। দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় সাদপন্থিদের ২০, ২১ ও ২২ জানুয়ারি। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ২০২৩ সালের ইজতেমা।
দুই পক্ষের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী ইজতেমা ময়দান জেলা প্রশাসনকে বুঝিয়ে দেয়ার কথা ছিল। সে অনুযায়ী দ্বিতীয় পর্বের সাদপন্থিরা গতকাল বুধবার মাঠ হস্তান্তরের তারিখ নির্ধারন করেছিলেন। এর মধ্যে গতকাল সকাল ৮টার দিকে জুবায়েরপন্থিরা নিয়ম ভঙ্গ করে মাঠ গোছানোর কথা বলে তাদের তিন শতাধিক সদস্য নিয়ে মাঠে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। এ খবর পেয়ে সাদপন্থিরা তাদের সতা শতাধিক সঙ্গী নিয়ে জুবায়েরপন্থিদের মাঠে ঢুকতে বাধা দেয়। দুই গ্রুপের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থানের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলের গিয়ে তাদের বুঝিয়ে মাঠ থেকে বিদায় করেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে বড় ধরনের একটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পেল তাবলিগপন্থিরা। পরে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে দুই পক্ষকে ডেকে ইজতেমার মাঠ সাদপন্থিরা জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেন। গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আয়োজক মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারীদের কাছ থেকে মাঠ বুঝে নেয়া হয়েছে। মাঠ এখন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে।
সরকারের পরবর্তী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গতকাল ইজতেমার মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের প্রতিটি ফটকেই অবস্থান করছেন সাদ অনুসারীদের মুসল্লিরা। প্রতিটি ফটকে ১৫ থেকে ২০ জন করে মুসল্লি বাঁশ ও লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। কোনো কোনো ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে কেউ মাঠে ঢুকতে গেলে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়। শুধু মুসল্লিদের পরিচিত কেউ বা প্রশাসনের লোকজন আসলে ফটক খুলে দেয়া হয়।
মাওলানা সাদের অনুসারীরা আগামী বছর প্রথম পর্বে ইজতেমা পালন করবেন জানিয়ে মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম বলেন, তিন বছর ধরে তারা (জুবায়েরপন্থি) আগে ইজতেমা করছেন। মাঠ নিজেদের দখলে রাখছেন। কিন্তু সামনের বছর আমরা আগে ইজতেমা করব।
এদিকে মাঠ হস্তান্তরকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সকাল থেকেই মাঠে অবস্থান নেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. মেহেদী হাসান বলেন, মাঠ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যেই বিরোধ চলমান। তাই বাড়তি সতর্কতা হিসেবে মাঠে অবস্থান করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়