‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান স্মরণে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আয়োজন

আগের সংবাদ

মূল্যস্ফীতির চাপে সাধারণ মানুষ : জীবনযাত্রার ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়েছে, কর্মসংস্থান ও আয় বাড়ানোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের

পরের সংবাদ

মগবাজারে বিস্ফোরণ : অজ্ঞাতদের আসামি করে পুলিশের মামলা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর মগবাজারের ওয়ারলেস মোড়ে সেন্ট মেরিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। বিস্ফোরক আইনে রমনা মডেল থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে মামলাটি দায়ের করে। এতে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে। কারণ, কারা কেন ওই প্লাস্টিকের ড্রামে বিস্ফোরক রেখে গেলো সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে, ঘটনাস্থল থেকে জব্দকৃত সিসি ক্যামেরা ফুটেজের সূত্র ধরে এগিয়ে চলছে তদন্ত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিস্ফোরক রেখে যাওয়া ব্যক্তি গ্রেপ্তার হলে রহস্য উদঘাটন হবে এ ঘটনার। এজন্য ওই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। আমরা কাজ করছি। আশা করি দ্রুতই এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পারবো। ভবনের নিচতলায় থাকা মেট্রো ডিপার্টমেন্ট স্টোরের ম্যানেজার মো. আবদুস সালাম বলেন, ঘটনার পর স্কুল ছুটি দিয়ে দেয়া হয়। গতকাল খোলেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্যও গতকাল ঘটনাস্থলে যায়নি। এদিকে, আগামী রবিবার পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে ভবনটির পাশের রমনা কিড্স কিন্ডার গার্ডেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ফলে এই স্কুলটিও গতকাল বন্ধ ছিল।
এদিকে, মগবাজারের ওয়ারলেস মোড়ে সেন্ট মেরিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে স্থগিত রয়েছে স্কুলটির কার্যক্রম। ভবনের নিচতলায় যে ফার্মেসির সামনে বিস্ফোরণ ঘটেছিল সেটিও বন্ধ রয়েছে। মূল ফটক আটকানো থাকলেও স্বাভাবিক রয়েছে ভবনটির গার্লস হোস্টেলের কার্যক্রম।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ভবনটির নিচতলার ফার্স্ট ফার্মা লিমিটেড নামের ফার্মেসির সামনে ফুটপাত ঘেঁষে রাখা একটি প্লাস্টিকের ড্রামে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে এক প্রকৌশলীসহ ৫ জন আহত হন। এদের মধ্যে ড্রামটি নিতে যাওয়া ভাঙারি দোকানের কর্মচারী আতিকুল ইসলাম গুরুতর আহত হন।
তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে অসংখ্য স্পিøন্টার উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) ধারণা, শক্তিশালী ককটেল রাখা ছিল ড্রামটিতে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়