‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান স্মরণে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আয়োজন

আগের সংবাদ

মূল্যস্ফীতির চাপে সাধারণ মানুষ : জীবনযাত্রার ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়েছে, কর্মসংস্থান ও আয় বাড়ানোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের

পরের সংবাদ

প্রাথমিক শিক্ষকদের পদায়নে বাণিজ্যের অভিযোগ : শরীয়তপুর

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্তদের পদায়নে রমরমা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। কাক্সিক্ষত বিদ্যালয়ে পদায়নের জন্য প্রতি শিক্ষককে গুনতে হয়েছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। বিভিন্ন উপজেলায় বেশ কিছু অসাধু শিক্ষক এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের এক কর্মচারীর সিন্ডিকেট পদায়নের নামে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এতে শিক্ষকতার মহান পেশায় শুভযাত্রাতেই হোঁচট খেয়েছেন অনেক শিক্ষক। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০২০ সালের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ৪৬৩ জনকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে পদায়নের জন্য চূড়ান্ত সুপারিশ করে নিয়োগ কর্তৃপক্ষ। ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারি সৃষ্টপদ ও শূন্যপদে ৪৩৭ জনকে পদায়ন করা হয়েছে। এ সুযোগে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী বিনয় ভূষণ সরকার ও বিভিন্ন উপজেলার বেশ কিছু অসাধু শিক্ষক রমরমা বাণিজ্য করেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। কাক্সিক্ষত বিদ্যালয়ে পদায়নের জন্য জনপ্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা। এবারের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করে সুনাম কুড়িয়েছেন শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান। কিন্তু পদায়নের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ সেই অর্জনকে কলঙ্কিত করেছে। জানা গেছে, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিম্মমান সহকারী হিসেবে যোগদান করেন বিনয় ভূষণ সরকার। এরপর তিনি উচ্চমান সহকারী পদে পদোন্নতি পেয়ে এখানেই থেকে যান। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় একই অফিসে কর্মরত থাকায় নানা অনিয়ম ও অসাধু চক্রের সঙ্গে তার সখ্যতা তৈরি হয়েছে। পুরো জেলাজুড়ে বিনয় ভূষণ সরকারের একটি সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। পদায়ন, বদলি, পেনশনসহ শিক্ষকদের প্রাপ্ত বৈধ নানা সুযোগ-সুবিধা নিতেও এ সিন্ডিকেটের দারস্থ হতে হয়। এ সিন্ডিকেটের কাজে অসহায় হয়ে পড়েছে সাধারণ শিক্ষকরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভেদরগঞ্জ উপজেলার কয়েকজন শিক্ষক বলেন, ‘নিয়োগের সময় কোনো টাকা লাগেনি। তখন মনে হয়েছিল আমরা অত্যন্ত ভাগ্যবান। কিন্তু পদায়নের সময় সে আনন্দ ¤øান হয়ে গেছে। নব যোগদানকৃত শিক্ষকদের পদায়নের জন্য ১০-২০ হাজার টাকা করে নিয়েছে একটি চক্র।’ টাকা কেন দিলেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সিনিয়র স্যারেরাও বলেছেন টাকা না দিলে অনেক দূরের বিদ্যালয়ে পোস্টিং দিবে। যোগদানের ৪-৫ বছর পরেও আর বদলি হতে পারব না। তাই বাধ্য হয়েই টাকা দিতে হয়েছে।’ এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী বিনয় ভূষণ সরকার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সত্য নয়। আমি কারো কাছ থেকে কোনো টাকা পয়সা নেইনি। আমার কোনো সিন্ডিকেটও নেই।’ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. এরশাদ হোসেন বলেন, ‘আপনারা সদ্য পদায়নপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কাছে জানতে চান যে আমরা তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি কিনা। আমরা স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ দিয়েছি। যদি অন্য কেউ আমার কথা বলে টাকা নেয়, সে দায় আমার নয়।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়