‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান স্মরণে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আয়োজন

আগের সংবাদ

মূল্যস্ফীতির চাপে সাধারণ মানুষ : জীবনযাত্রার ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়েছে, কর্মসংস্থান ও আয় বাড়ানোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের

পরের সংবাদ

নিউজিল্যান্ড : প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ক্রিস হিপকিন্স

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডের ৪১তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ক্রিস হিপকিন্স। তিনি দেশটির সদ্য সাবেক নেতা জেসিন্ডা অরডার্নের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক মিত্র। গতকাল বুধবার রাজধানী ওয়েলিংটনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান ৪৪ বছর বয়সি এ রাজনীতিক। অরডার্ন (৪২) আচমকা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে সবাইকে হতভম্ব করে ক্ষমতা ছাড়ার এক সপ্তাহ পর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন হিপকিন্স।
দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার মতো ‘শক্তি আর নেই’ এমনটি জানিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন অরডার্ন। তার আনুষ্ঠানিক পদত্যাগপত্র বুধবার গ্রহণ করেন নিউজিল্যান্ডের গভর্নর জেনারেল সিন্ডি কিরো, জানিয়েছে বিবিসি।
অরডার্ন সরকারের কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলার নেয়া উদ্যোগে নেতৃত্ব দিয়ে মন্ত্রী হিসেবে নিজের একটি ভাবমূর্তি তৈরি করেছিলেন হিপকিন্স। সেই ভাবমূর্তিতে ভর করে এবার তিনি দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার জায়গায় পৌঁছে গেলেন।
দেশের পরবর্তী নেতা হওয়ার পথে গত রবিবার ক্ষমতাসীন লেবার দলীয় ককাসের সর্বসম্মত সমর্থন পান হিপকিন্স, এবার আসছে অক্টোবরের সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতা ধরে রাখার কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নেতৃত্ব দিতে হবে তাকে।

মতামত জরিপগুলোতে দেখা গেছে, লেবার পার্টি জনপ্রিয়তায় রক্ষণশীল বিরোধীদল ন্যাশনাল পার্টির চেয়ে পিছিয়ে আছে। কোভিড মহামারির সময় নিউজিল্যান্ডই প্রথম দেশ যারা তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল। এই পদক্ষেপের কারণে মহামারির প্রথমদিকে ৫০ লাখ জনসংখ্যার দেশটি করোনা ভাইরাস সংক্রমণমুক্ত ছিল। তখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অরডার্ন সরকারের এ উদ্যোগ প্রশংসা কুড়িয়েছিল।

কিন্তু পরে মহামারি মোকাবিলায় সরকারের জিরো টলারেন্স কৌশলে নিউজিল্যান্ডের জনগণ ক্লান্ত হয়ে পড়ে। একজনের সংক্রমণ শনাক্ত হলেও দেশজুড়ে দেয়া লকডাউনে বিরক্ত হয়ে ওঠে তারা।
এর পাশপাশি আবাসন সংকট, জীবনযাপনের বাড়ন্ত খরচ, বন্ধকি সুদের হারবৃদ্ধি এবং অপরাধ নিয়ে বাড়তে থাকা উদ্বেগের কারণে গত কয়েকমাস ধরে অরডার্ন সরকারের জনপ্রিয়তা কমতে থাকে, দল হিসেবে লেবার পার্টিও জনসমর্থন হারাতে থাকে।
স¤প্রতি হিপকিন্স স্বীকার করেছেন, আগেই কঠোর লকডাউনের পদক্ষেপ থেকে সরে আসা উচিত ছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়