‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান স্মরণে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আয়োজন

আগের সংবাদ

মূল্যস্ফীতির চাপে সাধারণ মানুষ : জীবনযাত্রার ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়েছে, কর্মসংস্থান ও আয় বাড়ানোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের

পরের সংবাদ

দুবাই ফেরত যাত্রী গ্রেপ্তার : চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে অভিনব কায়দায় স্বর্ণ পাচারের চেষ্টা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এবার অভিনব কায়দায় স্বর্ণ পাচারের চেষ্টার সময় তা কাস্টমসের শুল্ক গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ে। দুবাই থেকে আসা এক যাত্রীকে পৌনে দুই কেজি স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় দেড় কেজি স্বর্ণ পরনের পোশাকের ভেতরে প্রলেপের মাধ্যমে যুক্ত করে ওই যাত্রী নিয়ে আসেন। গত ২৪ জানুয়ারি সকালে বিমানবন্দরে দায়িত্বরত জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মো. জিয়াউল হক নামে ওই যাত্রীকে আটক করে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করেন। আটক জিয়াউল হক নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার বসুরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তার ব্যবহৃত বাংলাদেশি পাসপোর্টটি জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বশির আহমেদ জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় ফ্লাই দুবাইয়ের নির্ধারিত ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এর প্রায় এক ঘণ্টা পরে জিয়াউল হক নামের ওই যাত্রী বিমানবন্দর টার্মিনাল ত্যাগের আগ মুহূর্তে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার পরিহিত স্যান্ডো গেঞ্জি, ফুল প্যান্ট ও আন্ডারওয়্যারের ভেতরে এই পোশাকগুলোতে স্বর্ণের প্রলেপ দেয়া ছিল। অভিনব কায়দায় এই স্বর্ণ তিনি বিমানবন্দর পার করার চেষ্টা করেছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে স্বর্ণের প্রলেপ দিয়ে লুকিয়ে স্বর্ণ পাচারের কথা স্বীকার করেন তিনি। এরপর জামাকাপড় থেকে ২৪ ক্যারেটের এসব স্বর্ণ আলাদা করা হয়। এ সময় এক কেজি ৪২৯ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়। পাশাপাশি তার কাছ থেকে দুটি স্বর্ণের বার এবং ১০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর তাকে পতেঙ্গা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান বশির আহমেদ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের কর্মকর্তারা জিয়াউলের পরণের গেঞ্জি ও প্যান্ট নিয়ে নগরীর হাজারী গলিতে গহনা তৈরির কারখানায় যান। সেখানে পোশাক থেকে স্বর্ণের প্রলেপগুলো আলাদা করে ১ কেজি ৪২৯ গ্রাম ওজনের একটি গোলকপিন্ড তৈরি করা হয়। এছাড়া তার কাছ থেকে ২৩৩ গ্রাম ওজনের ২ টি স্বর্ণবার ও ১০০ গ্রাম স্বর্ণালংকারসহ মোট ১ কেজি ৭৬২ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। স্বর্ণের গোলকপিণ্ডের দাম প্রায় ১ কোটি ৩ লাখ ৩ হাজার ৯০ টাকা। ২টি স্বর্ণবারের দাম ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। উদ্ধার করা স্বর্ণালঙ্কারের দাম ৮ লাখ ১ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে জব্দ স্বর্ণের বাজারমূল্য ১ কোটি ২৭ লাখ ৮৪ হাজার ৯০ টাকা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়