হাইকোর্টে বিএনপি নেতা খোকন ও মিলনের জামিন

আগের সংবাদ

ভোটের আগাম প্রচারে আ.লীগ : সভা-সমাবেশে উন্নয়ন তুলে ধরে নৌকায় ভোট চাওয়া হচ্ছে

পরের সংবাদ

সড়ক আইনে ‘সেফ সিস্টেম এপ্রোচ’ সংযোজনের দাবি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের সড়কপথ অধিকতর নিরাপদ করতে বিদ্যমান সড়ক পরিবহন আইনে নতুন অধ্যায় সংযোজনের দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠন এই দাবি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষে লিখিত বক্তব্যে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, দেশের সড়ককে অধিকতর নিরাপদ করার জন্য বিদ্যমান ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’-তে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘সেফ সিস্টেম এপ্রোচ’ পদ্ধতি বাস্তবায়ন হয়নি। সড়ক পরিবহন বিধিমালা জারির বিষয়টি প্রশংসনীয় উদ্যোগ হলেও এতে কিছু সীমাবদ্ধতা এখনো রয়েছে। আমাদের বর্তমান সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এবং সড়ক পরিবহন বিধিমালা-২০২২ এ মূলত সড়ক পরিবহন আইন এবং সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাসংক্রান্ত বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে। এই আইন ও বিধিমালা সড়ক নিরাপত্তা বিধিমালা নিশ্চিতকরণে যথেষ্ট নয়। কারণ, জাতিসংঘের সেকেন্ড ডিকেড অব অ্যাকশন ফর রোড সেইফটি ২০২১-২০৩০ এ বর্ণিত ৫টি পিলার (নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ সড়ক, নিরাপদ মোটরযান, নিরাপদ সড়ক ব্যবহারকারী এবং দুর্ঘটনা পরবর্তী ব্যবস্থাপনা) এবং বাংলাদেশ সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বর্ণিত ৫টি পিলারের আলোকে পরিবহন আইন-২০১৮ এবং সড়ক পরিবহন বিধিমালা-২০২২ প্রণীত হয়নি। তাই আমরা দাবি জানাচ্ছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সড়ক নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সমন্বয়ে বর্তমান আইনে একটি পৃথক অধ্যায় সংযোজন করা হোক। অথবা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ৫টি পিলার বা ‘সেফ সিস্টেম এপ্রোচ’ পদ্ধতিতে একটি পৃথক সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হোক।
তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বয়সে তরুণ বা যুবক এবং নানাবিধ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। সড়ক দুর্ঘটনার কারণ ও এর ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপকতা বহুমাত্রিক- যা প্রতিটি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নেকে বাধাগ্রস্ত করে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব ও স্বেচ্ছাসেবক বিভাগের পরিচালক ইমাম জাফর সিকদার, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক (রোড সেইফটি) ডা. মাহফুজুর রহমান ভূঁঞা, সিআইপিআরবির পরিচালক সেলিম মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ এনজিও নেটওয়ার্ক ফর রেডিও এন্ড কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম বজলুর রহমান, ইম্প্র্রেসিভ কমিউনিকেশন লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর খন্দকার হাসিবুজ্জামান প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়