হাইকোর্টে বিএনপি নেতা খোকন ও মিলনের জামিন

আগের সংবাদ

ভোটের আগাম প্রচারে আ.লীগ : সভা-সমাবেশে উন্নয়ন তুলে ধরে নৌকায় ভোট চাওয়া হচ্ছে

পরের সংবাদ

পুলিশ বক্স উচ্ছেদে বাধা : ডিএনসিসি কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার হুমকি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীতে আসাদগেট মোড়ে নির্মাণাধীন একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্স উচ্ছেদ করতে অভিযানে গিয়েছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কর্মকর্তারা। এ সময় ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের বাধায় উচ্ছেদ অভিযান না করেই ফিরে যান তারা। পুলিশ সদস্যরা অভিযানে যাওয়া ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে উচ্ছেদ অভিযানে ব্যবহৃত ডাম্প ট্রাক ও পে-লোডার জব্দ করে ডাম্পিংয়ে পাঠানোরও হুমকি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, ট্রাফিক বক্সটি নির্মাণ নয়, সংস্কার করা হচ্ছিল। এরই মধ্যে কেউ যথাযথ প্রক্রিয়া না মেনে হুট করে সেটি ভাঙতে চাইলেই হবে না।
ডিএনসিসির উপপ্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মফিজুর রহমান জানান, গত সোমবার আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদসহ তারা মোহাম্মদপুরের আসাদগেট থেকে একটি সভা শেষে ফিরছিলেন। এ সময় তারা দেখতে পান, আসাদগেটে সড়ক বিভাজকের মধ্যে ট্রাফিক পুলিশের বসার জন্য এক কক্ষের ঘর করেছে। পাকা ওই ঘর তৈরির কাজ চলছে। বিষয়টি দেখে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা নেমে পুলিশ সদস্যদের বলেন, এটি নির্মাণের আগে কেন তারা অনুমতি নেননি। মফিজুর রহমান বলেন, এ সময় পুলিশের সদস্যরা আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীরকে বলেন, তারা মেয়রের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছেন। মোতাকাব্বীর তাৎক্ষণিক উচ্ছেদের উদ্যোগ নিয়ে পরে আবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে পর দিন (মঙ্গলবার) ভোররাতে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেন।
সিটির কর্মকর্তারা বলেন, সিটি কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল সকালে পে-লোডার, ডাম্প ট্রাক প্রস্তুত করে অভিযানে যান ডিএনসিসি কর্মকর্তারা। এ সময় সেখানে তিন থেকে চারজন পুলিশ সদস্য ছিলেন। তারা মুঠোফোনে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের ডেকে আনেন। পুলিশের কর্মকর্তারা এসেই বলতে শুরু করেন, ওদের অ্যারেস্ট করেন, পে-লোডার ডাম্পিংয়ে নিয়ে যান। সিটি কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, পুলিশের সদস্যরা তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, তারা ভোররাতে আসছে চুরি করতে, তারা কি এখানে উচ্ছেদ করতে আসছে? উচ্ছেদ করতে আসার আগে কেন পুলিশকে জানায়নি। তারা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এগুলো করছেন। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করেন। পরে আভিযানিক দল বিষয়টি আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদকে জানালে তিনি পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। কিছুক্ষণ পর তিনি অভিযান না করে সবাইকে চলে যেতে বলেন। পরে তারা সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সেখান থেকে চলে যান। মোতাকাব্বীর আহমেদ বলেন, আসাদ অ্যাভিনিউয়ে সড়ক বিভাজকে আসাদের যে স্মৃতি ফলক আছে, সেটি নির্মাণাধীন পুলিশ বক্সের কারণে আড়াল হয়ে গেছে। সকালে এটি ভাঙতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। সেখানে উপপ্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মফিজুর রহমান ছিলেন। তাকে পুলিশ গ্রেপ্তারের হুমকি দেয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি নিয়ে পরে তিনি ট্রাফিকের তেজগাঁও বিভাগের ডিসির সঙ্গে কথা বলেন। ডিসি জানিয়েছেন, তারা এটি ভাঙতে দেবেন না। এটি ডিএমপি কমিশনারের বিষয়। এর বেশি কিছু ডিসি বলেননি। অভিযোগ প্রসঙ্গে ট্রাফিকের তেজগাঁও বিভাগের ডিসি শাহেদ আল মাসুদ জানান, এখানে হুমকির কিছু নেই। আসাদগেটে নির্মাণ নয়, ট্রাফিক পুলিশ বক্স সংস্কার করা হয়েছে। আর কোনো স্থাপনা ভাঙতে হলে তো ম্যাজিস্ট্রেটসহ কিছু প্রক্রিয়া আছে। হুট করে ভোরবেলায় কেউ এসে একটা ঘর ভেঙে দিয়ে গেল, এভাবে তো সম্ভব নয়। ডিসি বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়ায় ডিএমপি কমিশনারকে জানালে তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেটিই হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়