হাইকোর্টে বিএনপি নেতা খোকন ও মিলনের জামিন

আগের সংবাদ

ভোটের আগাম প্রচারে আ.লীগ : সভা-সমাবেশে উন্নয়ন তুলে ধরে নৌকায় ভোট চাওয়া হচ্ছে

পরের সংবাদ

ডাণ্ডাবেড়ি পরানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ডাণ্ডাবেড়ি ও হাতকড়ার অপব্যবহার বন্ধ এবং কারাগারে থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যক্তির প্যারোলে মুক্তির পর ডাণ্ডাবেড়ি পরানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। বিএনপির আইন সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জনস্বার্থে গতকাল মঙ্গলবার এ রিট দায়ের করেন। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশপ্রধান এবং কারা পুলিশপ্রধানকে বিবাদী করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, প্যারোলে মুক্তি দেয়ার পর ডাণ্ডাবেড়ি পরানো নিয়ে আমি পিটিশনার হয়ে একটি রিট আবেদন করেছি। সা¤প্রতিক সময়ে আমরা পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে দেখেছি যে, কারাগারে থাকা রাজনৈতিক দলের নেতা ও বিভিন্ন ব্যক্তিকে তাদের নিকটাত্মীয়ের জানাযায় অংশ নিতে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়েছে। প্যারোলে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে জানাযায় নিয়ে আসা হয়েছে। এটা অমানবিক। আমাদের সংবিধানও এটা সমর্থন করে না।
অন্যদিকে ডাণ্ডাবেড়ির অপব্যবহার বন্ধ ও এ নিয়ে একটি নীতিমালা করার জন্য সরকারকে গত ২২ জানুয়ারি আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী। নোটিসে বলা হয়, হাতকড়া ও ডাণ্ডাবেড়ির ব্যবহার বিষয়ে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা আছে। সিটিজেন ফর ডেমোক্র্যাসি বনাম স্টেট অব আসাম মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, পুলিশ বা কারা কর্তৃপক্ষ কোনো আসামিকে হাতকড়া বা ডাণ্ডাবেড়ি পরাতে পারবে না। কোনো মারাত্মক এবং পলায়নের আশঙ্কা আছে এমন আসামিকে এগুলো পরানো অত্যন্ত প্রয়োজন হলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ অনুমতি ছাড়া কোনো আসামিকে হাতকড়া বা ডাণ্ডাবেড়ি পরানো যাবে না।
ওয়ারেন্ট ব্যতীত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলে এবং হাতকড়া পরানো আবশ্যক মনে হলে পুলিশ তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়ে আসা পর্যন্ত হাতকড়া পরাতে পারবে। পরবর্তী সময়ের জন্য অবশ্যই ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশে এমন সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা বা নীতিমালা না থাকায় ডাণ্ডাবেড়ি ও হাতকড়ার অপব্যবহার হচ্ছে। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা বিচার ব্যবস্থার ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়