হাইকোর্টে বিএনপি নেতা খোকন ও মিলনের জামিন

আগের সংবাদ

ভোটের আগাম প্রচারে আ.লীগ : সভা-সমাবেশে উন্নয়ন তুলে ধরে নৌকায় ভোট চাওয়া হচ্ছে

পরের সংবাদ

এমজেএফের প্রতিবেদন : শতভাগ কর্মজীবী শিশু নির্যাতনের শিকার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : শ্রমের সঙ্গে নিযুক্ত সব শিশুই কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার। এমন তথ্য প্রকাশ করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)। এ সময় গৃহশ্রমকে শিশুশ্রমের তালিকাভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন সংস্থার নেতৃবৃন্দ। কারণ, গৃহশ্রমে নিযুক্ত বেশির ভাগই শিশু এবং তারা শতভাগ নির্যাতনের শিকার।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ শিশু পরিস্থিতি-২০২২ : সংবাদপত্রের পাতা থেকে’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) ২০১১ সাল থেকে সংবাদপত্রকে উৎস হিসেবে ধরে শিশুসংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের সংবাদ নিয়মিত সংরক্ষণ করতে শুরু করে। ৮টি জাতীয় দৈনিক পএিকায় সংবাদ পর্যালোচনা করে এই তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশ শিশু পরিস্থিতি-২০২২’ এর সার্বিক চিত্র উপস্থাপন করেন এমজেএফের কোঅর্ডিনেটর রাফেজা শাহীন। তিনি বলেন, বাল্যবিয়ের হার ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে এসে ৯৪ শতাংশ কমেছে।
২০২১ সালে দেশের ২৩টি জেলায় ৪১ হাজার ৯৫টি বাল্যবিয়ের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ২০২২ সালে বাল্যবিয়ের সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ২ হাজার ৩০১টি। করোনার সময় অর্থাৎ ২০২০-২১ সালে স্কুল বন্ধ থাকায় ও অভাব-অনটনের কারণে বাল্যবিয়ে বৃদ্ধি পেলেও ২০২২ সালে এসে তা অনেক কমে গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ এর তুলনায় ২০২২ সালে শিশু ধর্ষণের হার কমেছে ৩১.৫ শতাংশ। ২০২২ এর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ৫৬০ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে এবং ৯৮ জন শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা গেছে ১২টি মেয়েশিশু। ২০২১ সালে শিশুধর্ষণের এই সংখ্যা ছিল ৮১৮ জন। ২০২২ সালে ৩১১ জন শিশু হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। ২০২১ সালে তা ছিল ১৮৩ জন।
সড়ক দুর্ঘটনায় ২০২১ সালে ৬৯টি শিশু নিহত হলেও ২০২২ সালে এসে সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৯৬। ২০২২ সালে মোট নিখোঁজ শিশুর সংখ্যা ২০ জন। এর মধ্যে মেয়েশিশু ৬ জন ও ছেলেশিশু ১৪ জন। ২০২১ সালে নিখোঁজ শিশুর সংখ্যা ছিল ৩৮ জন। এর মধ্যে মেয়েশিশু ৩১ জন ও ছেলেশিশু ৭ জন। শিশু নির্যাতনের ৬৬টি ঘটনার মাধ্যমে ৬৮ জন শিশু নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশিত হয়েছে। ২০২১ সালে শিশু নির্যাতনের ১৬টি ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনকারী ছিলেন- গৃহকর্তা, বাবা-মা, শিক্ষক, উত্ত্যক্তকারী, স্থানীয় চেয়ারম্যান, চাকরিদাতা, প্রতিবেশী এবং সৎ মা।
সংবাদ সম্মেলনে এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, এমজেএফের বিশ্লেষণ অনুযায়ী শিশুরা নিজের বাসায় নিরাপদ নয়। শিশুধর্ষণ ও শিশুকে যৌন হয়রানি বন্ধ করার জন্য সবাইকে এখনই জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে, নতুবা এই হার বাড়তেই থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আমরান খান, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স এর নির্বাহী পরিচালক রোকসানা বেগম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুদা ও এমজেএফের সিনিয়র কোঅর্ডিনেটর শাহানা হুদা রঞ্জনা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়