প্রধান শিক্ষককে পিটুনি : আ.লীগ নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি

আগের সংবাদ

ভোক্তা অধিদপ্তরের মতবিনিময় সভা : আমদানি স্বাভাবিক না থাকলে বাজার নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে

পরের সংবাদ

শেবাচিমে অবহেলায় রোগীর মৃত্যু, বিক্ষুব্ধ স্বজনদের ভাঙচুর

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বরিশাল প্রতিনিধি : বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসায় অবহেলার কারণে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল রবিবার সকাল ১০টার দিকে হাসপাতা?লের নতুন ভবনের চারতলায় মেডিসিন ইউনিট-২ এর চিকিৎসকদের কক্ষ ভাঙচুর করেছে মৃতের স্বজনরা। ঘটনার পর রোগীর ছেলেকে আটক করে পুলিশ। তবে চিকিৎসকদের অনুরোধে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মৃত রোগী শহিদুল ইসলাম (৫০) ব?রিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের কলসগ্রাম এলাকার মৃত আলী হোসেনের ছেলে। তবে অভিযুক্ত ডাক্তার বলছেন, চিকিৎসায় কোনোরকম অবহেলা ছিল না তাদের।
মৃতের শ্যালক ফারুক হাওলাদার জানান, তার ভগ্নিপতি ২১ জানুয়ারি শনিবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। সকাল ৯টার দিকে তাকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আনার পর মেডিসিন ইউনিট-২ এ ভর্তি করা হয়। সেখানে ভর্তির পর ভগ্নিপতির বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। তাকে দ্রুত অক্সিজেন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। অক্সিজেন দিতে দেরি করায় ভগ্নিপতির মৃত্যু হয়। এ সময় বড় ডাক্তার এসে কর্তব্যরত নার্সদের বকাবকি করেন।
তিনি আরো জানান, বাবার মৃত্যুর পর ভাগ্নে জুম্মন ক্ষুব্ধ হয়ে চিকিৎসকের কক্ষে ভাঙচুর করেছে। পরে পুলিশ তাকে আটক করে। কিছুক্ষণ পর অবশ্য ছেড়ে দিয়েছে।
শেবাচিম হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের এসআই মো. মাইনুল বলেন, মৃতের ছেলে জুম্মন চিকিৎসকের কক্ষে টেবিলের গøাস, চেয়ার ও কাপ-পিরিচ ভেঙে ফেলেন। খবর পেয়ে আমরা গিয়ে জুম্মনকে আটক করি। পরে তার বাবার মৃত্যুর কারণে মানবিক বিবেচনায় চিকিৎসকের অনুরোধে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
রোগীর স্বজনদের দাবি, পরপর ৩টি সিলিন্ডার আনলেও তাতে অক্সিজেন ছিল না। পরে কোনোরকম একটি সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করা গেলেও ততক্ষণে রোগী মারা যান। ফলে ক্ষোভে ভাঙচুর করেন রোগীর ছেলে।
এদিকে মেডিসিন বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. আশিক রহমানের দাবি, চিকিৎসায় কোনোরকম অবহেলা ছিল না। তবে ভাঙচুরের বিষয়ে ক্ষোভ জানিয়ে হাসপাতালে সিসিক্যামেরা ও নিরাপত্তা জোরদারের কথা জানান তিনি।
ওই ইউনিটের রেজিস্ট্রার ডা. সোলায়মান বলেন, মেডিসিন ওয়ার্ডে প্রতিদিন রোগীর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা নিজেদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেন। তবুও রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়। তাই এ ওয়ার্ডের নিরাপত্তা বাড়ানোসহ সিসিক্যামেরা স্থাপন করা জরুরি।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসকের তুলনায় রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। চিকিৎসক তিনজন হলে রোগী চারশ থাকে। তাই চিকিৎসকরা রোগীদের পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেন না। কিন্তু চিকিৎসকদের অবেহলায় যে রোগীর মৃত্যু হয়, সেটা সঠিক নয়। চিকিৎসকরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়