প্রধান শিক্ষককে পিটুনি : আ.লীগ নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি

আগের সংবাদ

ভোক্তা অধিদপ্তরের মতবিনিময় সভা : আমদানি স্বাভাবিক না থাকলে বাজার নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে

পরের সংবাদ

দ্রুত জলবায়ু অভিযোজন বিনিয়োগ : ২০৩০ সালের মধ্যে বিলিয়ন ডলার ক্ষতি থেকে বাঁচবে দেশ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের নতুন একটি গবেষণা অনুযায়ী- জলবায়ু পরিবর্তনের সম্ভব্য প্রভাব মোকাবিলায় দরকার সময়োপযোগী বিনিয়োগ। এর ফলে যেমন বিলিয়ন ডলার ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে, তেমনি আগামী দশকে দেশের জিডিপিতে যে প্রভাব পড়তে পারে, তাও প্রতিরোধ সম্ভব হবে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের গবেষণা প্রতিবেদন দ্য অ্যাডাপ্টেশন ইকোনমি বা অভিযোজন অর্থনীতি বাংলাদেশ, ভারত, চীন এবং পাকিস্তানসহ ১০টি বাজারে জলবায়ু অভিযোজন বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা জরিপ করে জানায় যে, ২০৩০ সালের মধ্যে অভিযোজনে ন্যূনতম ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ না করলে বাংলাদেশ ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে। একই সঙ্গে জিডিপিতে ১১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হতে পারে, যা এই পরিমাণের প্রায় ১০ গুণ। সমগ্র জরিপজুড়ে, সর্বনি¤œ ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ না করলে ১০টি বাজার ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে এবং প্রায় ৩৭৭ বিলিয়ন ডলার জিডিপি ঘাটতি দেখা দিবে। প্রতিবেদন মতে- প্যারিস চুক্তি মোতাবেক বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখা হচ্ছে। তবে এটি বৃদ্ধি পেয়ে ৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গিয়ে দাঁড়ালে ন্যূনতম বিনিয়োগের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে ৬২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি হতে পারে। বিনিয়োগ না করা হলে সম্ভব্য ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। জলবায়ু অভিযোজন প্রকল্পসমূহের মধ্যে রয়েছে- বন্যার ঝুঁকিতে থাকা অঞ্চলগুলোয় উপকূলীয় বাঁধ-সুরক্ষা নির্মাণ করা, খরা-প্রতিরোধী ফসলের বিকাশ এবং ভবিষ্যৎ প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। অভিযোজনের জন্য প্রয়োজনীয় ৩০ বিলিয়ন ডলার গবেষণার ১০টি বাজারের মোট বার্ষিক জিডিপির ০.১ শতাংশের সামান্য বেশি এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের জাস্ট ইন টাইম রিপোর্ট অনুযায়ী উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর নেট জিরো ট্রান্সেকশনের জন্য প্রয়োজন আনুমানিক ৯৫ ট্রিলিয়ন ডলারেরও কম।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের চিফ সাসটেইনেবিলিটি অফিসার মারিসা ড্রিউ বলেন- এই প্রতিবেদন থেকে স্পষ্ট যে, গেøাবাল ওয়ার্মিং যতটা সম্ভব ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স, ব্র্যান্ড এন্ড মার্কেটিং বিটপী দাস চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের মতো একটি দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বিজ্ঞপ্তি।
এই দশকে আমরা অভিযোজনে বিনিয়োগে যদি ব্যর্থ হই, তবে তা বিভিন্ন সুযোগ হারানোর ঝুঁঁকি বৃদ্ধি করবে। বিজ্ঞপ্তি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়