মাছরাঙা টেলিভিশনের সংবাদ উপস্থাপিকা ডা. নাতাশার মৃত্যু

আগের সংবাদ

৫০ বছরের অংশীদারিত্ব উদযাপনকালে বিশ্বব্যাংক এমডি : বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের সর্ম্পক নতুন মাইলফলকে

পরের সংবাদ

নীতিমালা প্রকাশ : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র‌্যাগিং প্রতিরোধে কমিটি গঠনের নির্দেশ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র‌্যাগিং ও বুলিং প্রতিরোধে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ কমিটি প্রতিষ্ঠানে বুলিং কিংবা র‌্যাগিং হয় কিনা তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবে। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং ও র‌্যাগিং বিষয়ে অভিযোগ জানানোর জন্য অভিযোগ বক্স স্থাপনেরও নির্দেশনা দেয়া হয়। কমিটি অভিযোগগুলো পর্যালোচনা করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করবে। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।
নীতিমালায় বলা হয়, কোনো শিক্ষার্থীকে ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতিকর বা বেদনাদায়ক এবং আক্রমণাত্মক ব্যবহার, ব্যঙ্গ করে নাম ধরে ডাকা, বদনাম করা, লাথি মারা, বিভিন্ন ধরনের কুরুচিপূর্ণ অঙ্গভঙ্গি করা, এমনকি অবহেলা বা এড়িয়ে চলা, মানসিক চাপ দেয়া বুলিং বা র‌্যাগিং হিসেবে বিবেচিত হবে। নীতিমালায় আরো বলা হয়, কমিটি নিয়মিত সভায় মিলিত হয়ে বুলিং-র‌্যাগিং সংক্রান্ত মনিটরিং কার্যক্রম পর্যালোচনা করবে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করতে হবে। বুলিং কিংবা র‌্যাগিংকারী শিক্ষক অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে। সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর বিদ্যমান বিধিবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করবে। এক্ষেত্রে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর আওতায় অসদাচরণের অভিযোগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া যাবে। আর যাদের ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ কিংবা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ প্রযোজ্য নয়, তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে কিংবা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া যাবে। আর এমপিওভুক্ত শিক্ষক/কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এমপিও স্থায়ী/অস্থায়ীভাবে বাতিল করা যাবে। ক্ষেত্রবিশেষ তাদের স্থায়ী/অস্থায়ীভাবে অপসারণ/বরখাস্ত করা যাবে। আর উপযুক্ত কারণ দর্শানো সাপেক্ষে নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষক/কর্মচারীদের ক্ষেত্রে তাদের স্থায়ী/অস্থায়ীভাবে অপসারণ বরখাস্ত করা যাবে। এবং ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় দায়ী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা যাবে। আর বুলিং ও র‌্যাগিংকারী শিক্ষার্থী হলে এর ধরন ও গুরুত্ব অনুযায়ী এবং বিধিমালা অনুযায়ী বুলিং কিংবা র‌্যাগিংকারীকে সাময়িক ও স্থায়ী বহিষ্কারের উদ্যোগ নেবে এবং ঘটনার গুরুত্ব সাপেক্ষে প্রচলিত আইন অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বরাবর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করবে। আর যদি বুলিং কিংবা র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি/ম্যানেজিং/অ্যাডহক/বিশেষ কমিটির কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে হয় তাহলে বোর্ড কর্তৃক তদন্ত রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ওই কমিটির সদস্য পদ থেকে তাকে অপসারণ করা যাবে অথবা সংশ্লিষ্ট কমিটি বাতিল করা যাবে।
প্রচলিত আইন অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বরাবর ব্যবস্থা গ্রহণসহ ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় দায়ী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা যাবে। এছাড়াও প্রতি ছয় মাসে অন্তত একবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে এ বিষয় থেকে উত্তরণের উপায় হিসেবে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ আয়োজন করতে বলা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়