কাগজ প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গার ক্ষমা প্রার্থনায় নীরব ছিলেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের। গত বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের সভাপতিত্বে জাপার সংসদীয় দলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার এক ফাঁকে গোপনে জি এম কাদেরের কক্ষে গিয়ে ক্ষমা চান। তবে জি এম কাদের তাকে ক্ষমা করেছেন কিনা তা নিশ্চিত নয়। কারণ, মসিউর রহমান রাঙ্গা যখন ক্ষমা চান তখন নীরব ছিলেন জি এম কাদের।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে যোগ দেন জাতীয় পার্টির অধিকাংশ সংসদ সদস্য। সন্ধ্যায় সংসদ ভবনে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের সভাপতিত্বে জাপার সংসদীয় দলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অন্যদের মধ্যে ছিলেন জি এম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদের, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশিদ, মুজিবুল হক চুন্নু, ফখরুল ইমাম, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, নাসরিন জাহান রতনা, পীর ফজলুর রহমান, গোলাম কিবরিয়া টিপু, আহসান আদেলুর রহমান, নূরুল ইসলাম তালুকদার, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, রস্তম আলী ফরাজী, রানা মোহাম্মদ সোহেল, পনির উদ্দিন আহমেদ, রওশন আরা মান্নান ও নাজমা আকতার। ওইদিন সন্ধ্যায় গোপনে জি এম কাদেরের কার্যালয়ে যান রাঙ্গা। এ বিষয়ে মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, জি এম কাদেরের কার্যালয়ে গিয়ে ওনাকে বলেছি, যদি আমার কোনো কথায় কষ্ট পেয়ে থাকেন, আমি কোনো দুঃখ দিয়ে থাকি, তাহলে আপনি সেসব ভুলে যান, ফরগিভ মি।’ জি এম কাদেরকে কখনো কোনো গালাগাল দিইনি উল্লেখ করে মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, এরপরও দেখলাম বিষয়টি নিয়ে অনেক জল ঘোলা হয়েছে। আমি ওনাকে মামা বলে ডাকি। তিনি আমার ছোট ভাই মোস্তাফিজার রহমানের মামা শ্বশুর। বলতে গেলে আমাদের মুরব্বি। এসব ভেবে ওনার কাছে গিয়ে ফরগিভ মি বলেছি। পরে তিনি আমাকে কফি পান করান। রাঙ্গা বলেন, আমাকে ক্ষমা চাইতে দেখে জি এম কাদের এবং ওনার স্ত্রী শেরীফা কাদের অবাক হন, অনেকটা অপ্রস্তুত ছিলেন তারা। ওই সময় দুজন একসঙ্গে বলেন, আমরা কিছু মনে করিনি।
ওই সভায় উপস্থিত জাতীয় পার্টির দুজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, ?মসিউর রহমান রাঙ্গাকে ক্ষমা চাইতে দেখে দলের নেতারা একে অপরের মুখের দিকে তাকাচ্ছিলেন বারবার। তবে কেউ কোনো মন্তব্য করেননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের একজন সংসদ সদস্য বলেন, রওশন এরশাদপন্থি হওয়ায় রাঙ্গাকে জি এম কাদেরের সঙ্গে দেখা করে ক্ষমা চাইতে বলেছেন রওশন নিজেই।

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সময়ে জি এম কাদের ও জাপার নেতৃত্ব নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় রাঙ্গাকে দলের সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।