সমাজকল্যাণমন্ত্রী : ভিক্ষুক নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালাচ্ছে মোবাইল কোর্ট

আগের সংবাদ

বৈশ্বিক সংকটে চাপা প্রত্যাবাসন : রোহিঙ্গা শরণার্থী

পরের সংবাদ

মিয়ামির অভিজ্ঞতায় বর্জ্যমুক্ত নগরী গড়তে চায় ডিএনসিসি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি শহরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সেই লক্ষ্যে মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের কমার্শিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (সিএলডিপি) আমন্ত্রণে ফ্লোরিডা সফরে রয়েছে ডিএনসিসির একটি প্রতিনিধি দল। ডিএনসিসির এই প্রতিনিধি দলের কাছে ফ্লোরিডার মিয়ামি শহরের বর্র্র্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর ভিজ্যুয়্যাল প্রেজেন্টেশন ও তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হয়। গতকাল শুক্রবার ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।
মিয়ামি শহরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর প্রতিশ্রæতি জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মিয়ামি শহরের জনসংখ্যা আমাদের তুলনায় কম। তবে এখানে প্রতিদিন যে বর্জ্য উৎপন্ন হচ্ছে তা ডিএনসিসির চেয়ে বেশি। বিপুল পরিমাণ এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিক মানের। প্রায় ৪০ বছর ধরে এই বর্জ্য শোধনাগারে পোড়ানো হচ্ছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ডিএনসিসি সর্বশেষ প্রযুক্তিকে গুরুত্ব দিয়েছে। তাই আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে আমিনবাজারে ল্যান্ড ফিল্ড প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানকার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ডিএনসিসিকে গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতেই মিয়ামি শহরে সরজমিনে পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মিয়ামির সিটি ডেভেলপমেন্টকে আমরা কাজে লাগাতে চাই। মিয়ামিতে যেখানে বর্জ্য শোধন করা হয়, এর পাশেই বড় বড় দুটি টিলা নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে বসতি স্থাপনও করা হয়েছে।
মকবুল হোসাইন জানান, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় ডিএনসিসির প্রতিনিধি দলের কাছে মিয়ামির ডেড কাউন্টির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হয়। ডেড কাউন্টির ডিপার্টমেন্ট অব সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মিকেল ফার্নান্দেজ, শেহরা ধুরাম, রোনাল্ড হাওয়ার্ড ও ড্যানি দিয়াজ প্রতিনিধি দলের কাছে বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
তিনি জানান, মিয়ামি শহরে প্রায় ২৮ লাখ মানুষের বসবাস। ডিএনসিসির তুলনায় জনসংখ্যা কম হলেও সেখানে প্রায় দ্বিগুণের বেশি বর্জ্য উৎপন্ন হয়। মিয়ামিতে প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজার ২০০ টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। আর ডিএনসিসি এলাকায় প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। বিপুল সংখ্যক এই জনগোষ্ঠীর বর্জ্য অপসারণে দুটি পৃথক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সরকারিভাবে মিয়ামি ডেড কাউন্টি বর্জ্য সংগ্রহ করে ল্যান্ড ফিল্ডে নিয়ে পুড়িয়ে ছাই উৎপন্ন করে। আর সেই ভেজা ছাই আশপাশের এলাকাকে বড় বড় টিলায় পরিণত করছে। দিনব্যাপী এই কর্মশালায় কীভাবে এত বেশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজটি করা হয় এর বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়।
ডিএনসিসি মেয়রের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে রয়েছেন করপোরেশনের সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মঞ্জুর, ৫২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ আহমেদ, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রাজিয়া সুলতানা ইতি, মিতু আক্তার, ডিএনসিসির প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. বরকত হায়াত, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (অতিরিক্ত ড্রেনেজ সার্কেল) আবুল হাসনাত মো. আশরাফুল আলম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সিভিল) খন্দকার মাহবুব আলম প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়