সমাজকল্যাণমন্ত্রী : ভিক্ষুক নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালাচ্ছে মোবাইল কোর্ট

আগের সংবাদ

বৈশ্বিক সংকটে চাপা প্রত্যাবাসন : রোহিঙ্গা শরণার্থী

পরের সংবাদ

মিয়ানমার সীমান্তে আবারো গোলাগুলি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবান প্রতিনিধি : মিয়ানমার সীমান্তে নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুমের তুমব্রু শূন্যরেখায় আবারো গোলাগুলি চলছে। গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মিয়ানমারের দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। এ ঘটনায় হতাহতের ঘটনা এখনো নিশ্চিত করে জানা যায়নি।
বুধবার মিয়ানমারের দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গা সংগঠনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তুমব্রু শূন্যরেখায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে হামিদ উল্লাহ (২৭) নামে এক রোহিঙ্গা মারা যান ও একজন আহত হন।
আহত রোহিঙ্গা ব্যক্তি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গোলাগুলি চলার সময়ে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগে। এতে প্রায় ৫০০ ঘর পুড়ে যায়। ওই ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের ৬২১টি ঘর ছিল।
গোলাগুলি ও ঘরবাড়িতে আগুন দেয়ার ভয়ে ক্যাম্পের সিংহভাগ রোহিঙ্গা মিয়ানমারের ভেতরে আশ্রয় নিয়েছে।
বাকি রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তুমব্রু সীমানার দুটি বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার মিয়ানমারের দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে দিনভর গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তারই রেশ ধরে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উভয়ের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়।
মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে উভয়ের মধ্যে গোলাগুলিতে এপারের স্থানীয়দের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। বুধবারের গোলাগুলির ঘটনা শুরু হওয়ার পর থেকে এপারে বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানা গেছে। সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি চললেও এপারের স্থানীয় জানমালে এখনো কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কমিউনিটির নেতা দিল মোহাম্মদ বলেন, বুধবারের ঘটনার রেশ এখনো থামছে না। গোলাগুলি রাত ৮টার দিকে শুরু হয়েছে। এখনো থেমে থেমে গুলির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে শুনেছি দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি চলছে। হতাহত হয়েছে কিনা এখনো জানা যায়নি। সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি হওয়াতে প্রকৃত ঘটনা বোঝা যাচ্ছে না।
নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা বলেন, শুক্রবার রাতে মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি হয়েছে এমন খবর এখনো শুনিনি। জানার পর নিশ্চিত করে বলা যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়