সমাজকল্যাণমন্ত্রী : ভিক্ষুক নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালাচ্ছে মোবাইল কোর্ট

আগের সংবাদ

বৈশ্বিক সংকটে চাপা প্রত্যাবাসন : রোহিঙ্গা শরণার্থী

পরের সংবাদ

মালয়েশিয়ায় কন্টেইনার থেকে উদ্ধার কিশোরের নাম ফাহিম

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালয়েশিয়া যাওয়া জাহাজের একটি খালি কন্টেইনার থেকে উদ্ধার হওয়া ১৫ বছর বয়সি বাংলাদেশি সেই কিশোরের নাম ফাহিম। সে এখনো অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গতকাল শুক্রবার মালয়েশিয়ার গণমাধ্যম ‘ওহ বুলান’ শিশুটিকে উদ্ধারের ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করে। সেখানে কিশোরকে বলতে শোনা যায় তার নাম ফাহিম। পাশাপাশি কন্টেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকেই জাহাজে উঠেছিল বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে। 
এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি রাতে মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী ‘এমভি ইন্টিগ্রা’ জাহাজ থেকে মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দর কর্তৃপক্ষ ওই কিশোরকে উদ্ধার করে। পরদিন ১৮ জানুয়ারি রাতের দিকে বন্দর সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি জানতে পারেন। ১৫ বছর বয়সি ওই কিশোর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে খালি কন্টেইনারের ভেতর লুকিয়ে কেলাং বন্দরে পৌঁছায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মালয়েশিয়ার গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় পুলিশ ও মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ২০ ফুট লম্বা খালি কন্টেইনারটি খোলা হয়। গায়ে গরম জামা এবং থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট পরিহিত এক কিশোরকে কন্টেইনার থেকে বের হতে দেখা যায়। বের হওয়ার পর কিছুটা ভীত দেখা যায় তাকে। ভিডিওতে তার নাম ‘ফাহিম’ বলতে শোনা যায়। এরপর ফাহিমকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চিত্রও দেখা যায় ওই ভিডিওতে।
জানা গেছে, হংকংভিত্তিক ‘এমভি ইন্টিগ্রা’ জাহাজটির স্থানীয় প্রতিনিধি চট্টগ্রামের কনটিনেন্টাল ট্রেডার্স বিডি লিমিটেড। পাশাপাশি যে কন্টেইনার থেকে কিশোরকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, সেটির মালিক সিঙ্গাপুরভিত্তিক রিলায়েন্স এক্সপ্রেস লাইন। এটি নেমসন কন্টেইনার ডিপো থেকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে জাহাজে তুলে দেয়া হয়েছিল। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, মালয়েশিয়ার বন্দর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি এখনো জানায়নি। বন্দরকে অবহিত করার পর এটি খতিয়ে দেখা হবে।
কন্টিনেন্টাল ট্রেডার্স বিডি লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক এস এম ফয়সাল আহমেদ বলেন, চট্টগ্রাম থেকে খালি কন্টেইনারে করেই কিশোরটি কেলাং বন্দরে পৌঁছে। উদ্ধার হওয়া ওই কিশোরের নাম ফাহিম। তবে বিস্তারিত কিছু এখনো জানা যায়নি। সে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সুস্থ হলে বিস্তারিত পাওয়া যাবে। বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে এবং পুরোপুরি সুস্থ হলে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ খুব দ্রুতই একই জাহাজে করে ওই কিশোরকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ‘এমভি ইন্টিগ্রা’ জাহাজটি ১৩৩৭ টিইইউএস কন্টেইনার নিয়ে গত ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দর এনসিটি-১ নম্বর জেটি থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। সে জাহাজে থাকা একটি খালি কন্টেইনারে চেপে মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরে যায় ওই কিশোর। গত ১৬ জানুয়ারি জাহাজটি মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরের সাগরে পৌঁছে। সেখানে জাহাজটির একটি খালি কন্টেইনারের ভেতর থেকে জাহাজের নাবিকেরা চিৎকার শুনতে পান। এরপরই কেলাং বন্দরকে অবহিত করা হলে পরদিন ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় জাহাজটি জেটিতে এনে কন্টেইনার খুলে ওই কিশোরকে উদ্ধার করা হয়। বন্দরের একটি অসমর্থিত সূত্রে জানা যায়, মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরের উদ্দেশে রওনার জন্য জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে রাখা হয়েছিল। ওই সময় কিশোরটি চট্টগ্রাম বন্দরে বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা শেষে একপর্যায়ে খালি কন্টেইনারের ভেতরে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে ওই কিশোর ভেতরে তালাবদ্ধ হয়ে পড়ে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়