সমাজকল্যাণমন্ত্রী : ভিক্ষুক নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালাচ্ছে মোবাইল কোর্ট

আগের সংবাদ

বৈশ্বিক সংকটে চাপা প্রত্যাবাসন : রোহিঙ্গা শরণার্থী

পরের সংবাদ

মতিয়া চৌধুরী : উজ্জ্বল জ্যোতির্ময় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঢাবি প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ১০ জানুয়ারি স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করে জাতির জন্য এক উজ্জ্বল জ্যোতির্ময় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলার মাটি ও মানুষকে ধ্বংসস্তূপ থেকে তুলে এনে গড়ে তুলেছিলেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘জাতির পিতা ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন : ভেঙেছে দুয়ার এসেছে জ্যোতির্ময়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বক্তব্য রাখেন।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ফাঁসির মঞ্চ থেকে ফিরে এসে বঙ্গবন্ধু সেই ধ্বংসস্তূপ বাংলার মাটি ও মানুষকে শূন্য থেকে গড়ে তুলেছেন। আজ শেখ হাসিনার হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর সব স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে। পাকিস্তানের চেয়েও বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঘটনার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মতিয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মানুষের এত আগ্রহ ছিল যে, বিমানবন্দরে মানুষের লোকারণ্যের কারণে অনেকবার বিমান মাটি স্পর্শ করতে গিয়েও পারেনি। ফাঁসির মঞ্চ থেকে নিজের স্বদেশে ফিরে এসে বঙ্গবন্ধুর অনুভূতি কেমন ছিল সেটা কখনো কেউ উপলব্ধি করতে পারবে না।
বিমান থেকে নেমে তিনি বাংলার মাটিতে এক উজ্জ্বল জ্যোতির্ময় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। সেদিন তিনি যে বক্তব্যটা দিলেন, তার কণ্ঠ বারবার আবেগে রুদ্ধ হয়ে আসছিল। বঙ্গবন্ধুর সেই বক্তব্য সাধারণ জনতাকে স্পর্শ করে গিয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, বাংলার মাটি ও মানুষকে তিনি শূন্য থেকে গড়ে তুলেছেন। তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের যে গ্যারান্টি বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন তার কন্যার হাত ধরে তা আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। তার প্রমাণ আজ আমাদের সামনে।
বিশেষ আলোচকের বক্তব্যে বিপ্লব বড়–য়া বলেন, জাতির পিতার শাসনামলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৬ শতাংশ, যা আমরা এখনো স্পর্শ করতে পারিনি।
বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয় তখন বাংলাদেশের জিডিপি ছিল ২৭৮ ডলার। সেই সময়ে পরাশক্তি চীনের জিডিপি ছিল ১৭৮ ডলার। যে পাকিস্তানকে আমরা পরাজিত করেছিলাম সে পাকিস্তানের জিডিপি ছিল ১৬৮ ডলার এবং ভারতের ছিল ১৫৮ ডলার। আজ বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে এই দেশ মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুরের মতো একটা উন্নত দেশে রূপান্তরিত হতো। তারা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি, একটি দেশের ভবিষ্যৎকে হত্যা করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়