সমাজকল্যাণমন্ত্রী : ভিক্ষুক নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালাচ্ছে মোবাইল কোর্ট

আগের সংবাদ

বৈশ্বিক সংকটে চাপা প্রত্যাবাসন : রোহিঙ্গা শরণার্থী

পরের সংবাদ

চা উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সম্ভাবনা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : বেশ আগেই শেষ হয়েছে চা উৎপাদন মৌসুম। তাছাড়া নিলাম মৌসুমও এখন শেষ দিকে। ভরা মৌসুমে অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত, শ্রমিক সংকটে উৎপাদন ব্যাহত হলেও মৌসুমের শেষার্ধে চা উৎপাদন বেড়েছে, যে কারণে নিলামে চা সরবরাহও বেড়ে গেছে। সর্বশেষ কয়েকটি নিলামের প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
দেশে মূলত চায়ের ভরা মৌসুম ধরা হয় জুন-অক্টোবর পর্যন্ত। নিলাম মৌসুম শেষ হবে ফেব্রুয়ারিতে। এরই মধ্যে স¤প্রতি শেষ হওয়া কয়েকটি নিলামে দেখা গেছে, পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় বেড়েছে চায়ের সরবরাহ। সর্বশেষ ১৬ জানুয়ারি চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ৩৭তম আন্তর্জাতিক নিলামে ৬৭ হাজার ৯৬৬ বস্তায় চা নিলাম হয়েছে ৩৩ লাখ ৯১ হাজার ৫০৩ কেজি। যদিও পূর্ববর্তী বছরের একই নিলামে চা প্রস্তাব করা হয়েছিল ৫৪ হাজার ৩৮৫ বস্তায় ২৯ লাখ ৭৪ হাজার ৩১৬ কেজি। অর্থাৎ একই নিলাম ও সময়ে ২০২১ সালের তুলনায় চা বেশি এসেছে ৪ লাখ ১৭ হাজার ১৮৭ কেজি।
অন্যদিকে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় ৩৮তম নিলামে ৬২ হাজার ৩৭ বস্তায় ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ৬৪৬ কেজি চা প্রস্তাবের সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগের মৌসুমের ৩৮তম নিলামে চা উঠেছিল ৫৫ হাজার ৫১২ বস্তায় ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৯৫১ কেজি। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নিলাম মৌসুমের শেষ দিকে বাড়তি চা সরবরাহের কারণে ২০২২ সালের চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে দেশের চা বাগানগুলো।
বাংলাদেশ চা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে দেশে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১০ কোটি কেজি। তবে গত বছরের আগস্টে দেশব্যাপী চা বাগানগুলোয় টানা ২০ দিন শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। যে কারণে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। তবে নিলাম মৌসুমের শেষ দিকে বাড়তি চা সরবরাহ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা জানান- উৎপাদন মৌসুমের শেষ দিকে নিলামে চায়ের সরবরাহ বেড়েছে। সেজন্য শেষ দিকের নিলামে চায়ের দাম আগের নিলামগুলোর তুলনায় কিছুটা কমে এসেছে। তবে দাম একটু কমলেও এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি নিলাম মৌসুমে আগের তুলনায় রেকর্ড চা বিক্রি হবে।
প্রসঙ্গত, দেশে চা বাগান রয়েছে ১৬৮টি। প্রতি বছর প্রায় সাড়ে নয় কোটি কেজি চায়ের চাহিদা রয়েছে। উৎপাদন ও চাহিদা একই থাকায় বাংলাদেশ থেকে চা রপ্তানি ধীরে ধীরে কমে আসছে। একসময় বাংলাদেশ থেকে উৎপাদনের প্রায় অর্ধেক চা রপ্তানি হতো। তবে বর্তমানে দেশে চা রপ্তানি ও আমদানি প্রায় সমান হয়ে এসেছে। দেশীয় ভোক্তাদের চাহিদা বিবেচনা করে ব্র্যান্ডেড কোম্পানিগুলো নিলাম থেকে ক্রয়ের পাশাপাশি বিশ্ববাজার থেকেও চা আমদানি করে।
দেশীয় চা শিল্পকে সুরক্ষা দিতে সরকার চা আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করলেও চায়ের বাজার প্রতিযোগিতার কারণে আমদানি থেমে নেই। এ কারণে চা উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ চা বোর্ড নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। মৌসুমের শেষ দিকে চা উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় আগামী মৌসুমেও চায়ের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন চা বোর্ডের কর্মকর্তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়