সমাজকল্যাণমন্ত্রী : ভিক্ষুক নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালাচ্ছে মোবাইল কোর্ট

আগের সংবাদ

বৈশ্বিক সংকটে চাপা প্রত্যাবাসন : রোহিঙ্গা শরণার্থী

পরের সংবাদ

আন্তর্জাতিক হিন্দু সম্মেলনে বক্তারা : সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কারো ভোটব্যাংক হবে না

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়নসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আওয়ামী লীগের দেয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ। তারা বলছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আর কোনো রাজনৈতিক দলের বলির পাঁঠা বা ভোট ব্যাংক হিসেবে ব্যবহৃত হবে না। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক হিন্দু সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হিন্দু পরিষদ আন্তর্জাতিক কমিটির (আমেরিকা) সভাপতি সত্যব্রত কর। সকালে মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বালন ও নামসংকীর্তনের মাধ্যমে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। বিকালে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে গুণীজন সংবর্ধনা দেয়া হয়। বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি দীপঙ্কর শিকদার দীপুর সভাপতিত্বে গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। গুনীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জন ঘোষাল।
মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক নিবন্ধন লাভ করাকে অস্তিত্ব রক্ষার্থে জাতির জন্য কালজয়ী প্রাপ্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেন বক্তারা। এছাড়া আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়নের জোর দাবি জানানো হয়।
হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র সুমন কুমার রায় বলেন, সরকারকে বলতে চাই, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে সংখ্যালঘুদের দেয়া প্রতিশ্রæতির যদি বাস্তবায়ন না হয়, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় জানে, কীভাবে দাবি বাস্তবায়ন করতে হয়। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আজকে সজাগ। তাদের মুলা ঝুলিয়ে শুধু ভোট ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা বলতে চাই, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আর কোনো রাজনৈতিক দলের বলির পাঠা হিসেবে, ভোট ব্যাংক হিসেবে ব্যবহৃত হবে না।
তিনি বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সবরকম বৈষম্যরোধে এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক অধিকার আদায়ে ভবিষ্যতে শুধু ঘরোয়া নয়, রাজপথেও ঐক্যবদ্ধভাবে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে তারা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা ইসকনের পরিচালক (ফুড ফর লাইফ) রূপানুগ গৌর দাস ব্রহ্মচারী বলেন, আমরা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে সময় কাটাচ্ছি। ১৯৪৮ সালের পর থেকে হিন্দু সম্প্রদায়কে উৎপাটনের জন্য যে চক্রান্ত চলছে, তা আজো বন্ধ হয়নি। নীরবে আমাদের শ্বাসরুদ্ধ করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়