নিদ্রাহীন পাণ্ডুর চাঁদ প্রবল শীতে জবুথবু
তবুও পক্ষ শেষে পূর্ণিমা আসে।
প্রবল জোছনা তার সন্ধ্যার আকাশে মøান হেসে
সম্ভাষণ জানাতেই সন্ধ্যার পাখি অদৃশ্যে উড়াল!
পথচলতি ভাবুক কবিও কেঁপে ওঠে শীতের চাবুকে
জোছনার আলো তার গায়ে লাগে না।
চারিদিকের শব্দাবলী মিশে যেতেই গরম কাপড়ের
বিছানায় নিস্তব্ধতা জাগে; কোন এক বাদুরের
ক্ষীয়মান শব্দ মিশে যায় রাতের অলিন্দে।
হয়তো তখন কোন শিশুর কোমল স্বর রাতের
নীরবতার ফাঁকে ভেসে যাবে বাতাসে!
তবুও শীতার্ত জননী তাকে জোছনার প্রলোভনে
বাতাসের ছোঁয়া আগলে রাখে বুকের জমিনে।
কুয়াশার জলসিঞ্চন থেকে গরম কাপড় জড়িয়ে বুকের মাঝে রেখে
ভোরের আলোতে জোছনাকে উপেক্ষা করে।
রাতের জমানো হিম কুয়াশার সাথে
পূর্ণিমার অঢেল জোছনা মিশে কি যে এক অলৌকিক আঁধার-
অশরীরীরা কুয়াশার ওপারে সহস্র রাতের নিস্তব্ধতা জাগে!
যেন মায়াবী কুহকের জলসিক্ত রঙ্গমহল!
বুক হিম করা সেই নির্জনতায় জোছনার ফিকে রং
ভীতিকর জাদুঘরের মোমের বাতির মতো ফ্যাকাশে।
সেই নির্জনতায় নিজেকেও অশরীরী মনে হয়!
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।