আইনমন্ত্রী : মানবাধিকারের উন্নতি হওয়ায় র‌্যাব নতুন নিষেধাজ্ঞায় পড়েনি

আগের সংবাদ

পাহাড়ে সন্ত্রাসী-জঙ্গি একাকার : স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর যোগসাজস, দুর্গম হওয়ায় অভিযান চালানো কঠিন

পরের সংবাদ

ব্যাংকগুলোর ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সুযোগ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারের এখন সংকটময় অবস্থা চলছে। এই অবস্থায় ব্যাংকগুলো বিনিয়োগে এগিয়ে এলে বাজারের চিত্র পাল্টে যাবে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৪টি ব্যাংক আগামী মার্চের মধ্যে ৫ হাজার কোটি টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করবে প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। ব্যাংকগুলো তার মূলধনের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। তার বেশি করতে পারবে না। করলে তাকে জরিমানা গুনতে হবে।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩১টি ব্যাংকের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। কিন্তু গত ৩১ ডিসেম্বর (২০২২) পর্যন্ত ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছে ১২ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। সেই হিসেবে আরো অন্তত ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে পারবে।
গত ৩১ ডিসেম্বর (২০২২) পর্যন্ত এবি ব্যাংক শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছে ৪০৭ কোটি টাকা। যা মূলধনের প্রায় ২০ শতাংশ। প্রতিষ্ঠানটি আরো ৫ শতাংশ অর্থ বিনিয়োগ করতে পারবে। ব্যাংক এশিয়া বিনিয়োগ করেছে ৪৮০ কোটি টাকা অর্থাৎ ১৯ শতাংশের বেশি। আরো ৬ শতাংশ অর্থ বিনিয়োগ করতে পারবে। সিটি ব্যাংক বিনিয়োগ করেছে ৪৫৯ কোটি টাকা। যা শতাংশের হিসেবে প্রায় ১৬ শতাংশ। প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ১০ শতাংশ বিনিয়োগ করতে পারবে। ব্র্যাক ব্যাংক বিনিয়োগ করেছে মাত্র ১৫ শতাংশের কিছু বেশি। অর্থাৎ ১০ শতাংশ বিনিয়োগ করতে পারবে। এছাড়া ঢাকা ব্যাংক বিনিয়োগ করেছে ৪৭৫ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি ৮ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ করতে পারবে।

অন্যান্য ব্যাংকের মধ্যে ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, ?সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, সোনালী ইসলামী ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ইউসিবি এবং উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড তাদের মূলধনের ২৫ শতাংশ বিনিয়োগ করতে পারবে।
সংকটকাল কাটিয়ে দেশের অর্থনীতি এখন ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের জুজু এখন আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। কারণ অর্থনৈতিক সংকটের শেষ প্রান্তে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে ডলারের দাম কমতে শুরু করেছে, জ্বালানি তেলের সংকটও কেটে যাচ্ছে, কৃষি উৎপাদন বেড়েছে এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ স্বাভাবিক হয়ে আসছে। অবস্থা চাঙ্গা হলে বিনিয়োগ করবে ব্যাংকগুলো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়