আইনমন্ত্রী : মানবাধিকারের উন্নতি হওয়ায় র‌্যাব নতুন নিষেধাজ্ঞায় পড়েনি

আগের সংবাদ

পাহাড়ে সন্ত্রাসী-জঙ্গি একাকার : স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর যোগসাজস, দুর্গম হওয়ায় অভিযান চালানো কঠিন

পরের সংবাদ

আব্দুল খালেক : লোকসাহিত্য চর্চার পথিকৃৎ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে লোকজীবনের স্বরূপ বাংলাদেশে তথা উপমহাদেশের আধুনিক ফোকলোর চর্চার প্রবাদ পুরুষ ড. মযহারুল ইসলাম, ড. আশরাফ সিদ্দিকী, ড. ওয়াকিল আহমদ ও ড. আব্দুল খালেক। তাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সহযোগিতায় ১৯৯৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা হয় ফোকলোর বিভাগ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের পাঠ্যক্রমই শুধু নয়, বাংলাদেশে ফোকলোর চর্চার সমৃদ্ধ ধারা তৈরির অগ্রদূত প্রফেসর আব্দুল খালেক। ১৯ আগস্ট, ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণকারী গুণী এই শিক্ষাবিদ ও ফোকলরবিদ এখনো পাননি তার কাজের যোগ্য স্বীকৃতি। ফোকলোর চর্চার এই অগ্রদূতের হাত ধরে যাদের ফোকলোর চর্চায় প্রবেশ, সেই শিষ্যদের অনেকের ঝুলিতে বাংলা একাডেমি পুরস্কার জমা হলেও তিনি থেকে গেছেন উপেক্ষিতই। বাংলা একাডেমি থেকে প্রতিবছর সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান স্বরূপ প্রদান করা হয় এই পুরস্কার- গত তিন বছর ধরে লোকসাহিত্য বিভাগ নামে যোগ হয়েছে আরো একটি শাখা। অথচ এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা চাকরিতে বহাল থাকা অবস্থায়ও (কেউ কেউ) পেয়ে গেছেন এই পুরস্কার। কীভাবে তারা চাকরিতে বহাল থাকা অবস্থায় এই পুরস্কার নিয়ে থাকে তা আমার মাথায় আসে না। কারণ তারাও এই পুরস্কার প্রদানের প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত- তাহলে এই একাডেমিতে থাকা অবস্থায় কী করে তারা এই পুরস্কার পেতে পারেন। অথচ বাংলাদেশের অনেক প্রবীণ রয়েছেন যারা বাংলা একাডেমিতে চাকরি করেছেন এবং বাংলা একাডেমি পাওয়ার যোগ্যতাও রাখেন- তাহলে তাদের কেন দেয়া হলো না এই পদক- এমন প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মাঝে উঠতেই পারে? বাংলাদেশে লোকসাহিত্য বিষয়ে যারা গবেষণা করে থাকেন, প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক তাদের মধ্যে অন্যতম। ১৯৭৯ সালে লোকসাহিত্য বিষয়ে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। এর পর থেকে তিনি বিরামহীনভাবে লোকসাহিত্য নিয়ে কাজ করে চলেছেন। তিনি ‘ফোকলোর গবেষণা সংসদের’ সভাপতি। তার উদ্যোগেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় ফোকলোর বিভাগ। বাংলাদেশে ফোকলোর চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল খালেকের উল্লেখযোগ্য প্রকাশনার মধ্যে রয়েছে- মধ্যযুগের বাংলা কাব্যে লোক-উপাদান, মৈমনসিংহ গীতিকা : জীবন ও শিল্প, প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে লোক জীবনের স্বরূপ, বাংলাদেশে ফোকলোর চর্চা, ময়মনসিংহ গীতিকা : পাঠ পরিক্রমা, মধ্যযুগের বাংলাকাব্যে লোককথা, মধ্যযুগের বাংলাকাব্যে বন্দনা এবং ভণিতা, শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, লোককথা পরিচিতি ও গতিপ্রকৃতি ইত্যাদি।
আব্দুল খালেক কখনো নিজের স্বার্থের দিকে না তাকিয়ে অন্যের মঙ্গলের জন্য সর্বদা কাজ করে চলেছেন। তার ইচ্ছা যদি থাকত কোনো পুরস্কার বা পদকের দিকে তাহলে তিনি ইচ্ছা করলেই পদক বা পুরস্কার অর্জন করতে পারতেন। এই সংবেদন ও মননশীল মানুষটার গড়ে ওঠার ইতিহাস কিন্তু সহজ ছিল না। ড. খালেক দেশের ভঙ্গুর রাজনীতি নিয়ে কথা বলেছেন- দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন- সর্বদা সমস্যা শনাক্তকরণের চেষ্টা করেছেন এবং তা নিরসনের উপায় অন্বেষণ করে গেছেন। তিনি কোনো লুকোচুরিকে প্রশ্রয় দিতেন না, কারো ভুল হলে তাকে তা ধরিয়ে দিতেন নিজেকে শুধরে নেয়ার জন্য। মুক্তিযুদ্ধের চেতনামুখী এই মানুষটা সর্বদা নিজেদের সঠিক ইতিহাসটাই বলার চেষ্টা করেছেন- কাজ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শহীদ শামসুজ্জোহাকে নিয়ে। তুলে ধরেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বধ্যভূমির কথা। আজকের সমাজে বুদ্ধিবৃত্তিক বাণিজ্য চলছে- তিনি কখনো এই ধণিকশ্রেণির পালে নিজেকে মিশিয়ে দেননি। একজন সচেতন মানুষ; শিক্ষক এবং একজন চিন্তক হিসেবে তিনি অন্যের মঙ্গলের জন্য কাজ করার চেষ্টা করে চলেছেন। এই শিক্ষাবিদ শিক্ষার প্রসারের জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- যা বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তোলেননি। জনসেবা বা সমাজের মানুষকে আলোকিত করার ব্রত নিয়ে তিনি এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে লোকসাহিত্যের মূল্যায়নের জন্য তিনি গড়ে তুলেছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফোকলোর বিভাগ। শুধু তিনি এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেননি- এখানে বলে রাখা ভালো যে- ড. আব্দুল খালেকের ভাই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফোকলোর বিশারদ বিশিষ্ট রবীন্দ্র সাহিত্য গবেষক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর মযহারুল ইসলাম নব্বইয়ের দশকে শাহজাদপুরে রবীন্দ্রনাথের নামে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবার পর শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ বেশ খানিকটা এগিয়ে যায়। শাহজাদপুর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রফেসর আব্দুল খালেকও বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখে চলেছেন- রবীন্দ্র কাচারি বাড়ির ইতিকথা, বাঙালি জাতিসত্তা : কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা, শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হোক, বাংলাদেশে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন, রবীন্দ্রনাথের লোকসংস্কৃতি অন্বেষা, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় : আমাদের প্রত্যাশা, লোকসংস্কৃতি বিষয়ক নানা গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ লিখিত ভূমিকা, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় : জাতির লালিত স্বপ্ন, রবীন্দ্রনাথ এবং আমাদের পরিবার। এমন অসংখ্য প্রবন্ধ লিখেছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য এবং সেই স্বপ্ন পরবর্তীকে বাস্তবায়িতও হয়েছে। এভাবে লোকসংস্কৃতি কিংবা রবীন্দ্রনাথ কিংবা শিক্ষার সম্প্রসারের জন্য এখন পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন এই লোকগবেষক আব্দুল খালেক।
প্রফেসর আব্দুল খালেক বাংলা ভাষা সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং বাংলার রাজনৈতিক অঙ্গনে এক খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব। রাজশাহীতে স্থাপন করেছেন ‘নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানেও রয়েছে বাংলা ও ফোকলোরের বিভাগ। এই পরিবার তথা প্রফেসর আব্দুল খালেকের হৃদয়ে প্রোথিত রয়েছে রবীন্দ্রনাথ কিংবা লোকসাহিত্যের বীজ। যে কারণে তিনি নিজেদের শিকড়কে অস্বীকার করতে পারেন না। এই শিকড়কে সবার কাছে তুলে ধরা বা এই শাখাকে আমাদের প্রধান শাখা করে; তুলে ধরার জন্য প্রাতিষ্ঠানির রূপদান করে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। প্রফেসর আব্দুল খালেক তার ‘অন্ধকার যুগ ও মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যচর্চা’ গ্রন্থে চমৎকারভাবে অন্ধকার যুগ এবং মধ্যযুগের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দিয়েছেন। তিনি এই বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে সাহিত্যের ক্রমবিকাশের নানাদিক বিবেচনায় এনে নানা গবেষকের নানা-মত থাকলেও তিনি নিজের মতামত পর্যালোচনা করে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর আদর্শকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। এই গ্রন্থের একটা প্রবন্ধ রয়েছে- ‘মধ্যযুগের লোকগীতিকা চর্চার ইতিবৃত্ত : সংগ্রহ সম্পাদনা ও প্রামাণিকতা’। এই প্রবন্ধে তিনি লোকগীতিকা সংগ্রহ ও সম্পাদনার সব প্রাপ্যতা দেন ড. দীনেশচন্দ্র সেনকে। কেননা তার উদ্যোগেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থানুকূল্যে এই সংগ্রহের কাজ সম্পাদিত হয়। এ সময় যারা এই গীতিকা সংগ্রহে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন তারা হলেন- চট্টগ্রামের আশুতোষ চৌধুরী, ফরিদপুরের কবি জসীম উদ্দীন, ময়মনসিংহের চন্দ্রকুমার দে এবং পাবনার মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন। এই বিপুলসংখ্যক গীতিকা থেকে চুয়ান্নটি নিয়ে ‘মৈয়মনসিংহ গীতিকা’ ও ‘পূর্ব্ববঙ্গ গীতিকা’ প্রকাশিত হয়। ড. দীনেশচন্দ্র সেনের অসাধারণ দক্ষতার ফলে তা পরবর্তীতে বাংলা এবং ইংরেজিতে প্রকাশিত হয়। লোকগবেষক আব্দুল খালেক এই গীতিকা সংগ্রহ সম্পাদনা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন এমনকি এই গীতিকা সংগ্রহ সম্পাদনা কিংবা এর সীমাবদ্ধতা নিয়েও একজন দক্ষ গবেষকের দৃষ্টিভঙ্গিতে তা বলার দক্ষতা চেষ্টা করেছেন। তিনি তার অন্য একটি গ্রন্থ ‘প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাঙলা সাহিত্যে লোকজীবন স্বরূপ’- এই গ্রন্থে চর্যাপদের লোকজীবনকে এক নিখুঁতভাবে তুলে ধরার প্রয়াস পেয়েছেন। তিনি চর্যাপদে লোকজীবনের যে বর্ণনা রয়েছে তা অনায়াসে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণসহ আমাদের সামনে হাজির করেছেন। এমনকি বারমাসি গানগুলো যে নারী আশ্রিত গান তার কারণ হিসেবে আমাদের কৃষিনির্ভর সমাজ ও সভ্যতার কথা বলেছেন। আমরা অনেকে এখনো লোককবিদের রচনাকে অবজ্ঞার চোখে দেখে থাকি কিন্তু তাদের রচনা বা গীতিকা সম্পর্কে গবেষক আব্দুল খালেক তার প্রবন্ধে বলেছেন- একটি পালা বা গীতিকা তখনই শিল্প সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে, যখন তার মধ্যে রক্তমাংসের মানুষ এবং সেই মানুষের প্রেম-প্রীতি, স্নেহ-ভালোবাসা, সুখ-দুখ, ব্যথা-বেদনা, জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাত, সমাজের নানা চালচিত্র জীবন্ত রূপ লাভ করে। আর এগুলো সবই লোককবিদের গীতিকায় বিদ্যমান- যে কারণে তাদের সৃষ্টি; শিল্পগুণ সম্পন্ন সাহিত্য হিসেবে আজ বিবেচিত। তিনি তার অন্য একটি প্রবন্ধে বলেছেন- লোককবিগণ যেভাবে তাদের মুখে মুখে রচিত গানের মধ্যে নিজেদের নাম ভণিতা হিসেবে জুড়ে দিয়ে থাকেন, মধ্যযুগের প্রায় সব শিক্ষিত কবিই লোককবিগণের অনুকরণে তাদের কবিতায়, গানে নিজেদের নাম ভণিতা হিসেবে কোথাও না কোথাও জুড়ে দিয়েছেন। এ থেকে স্পষ্ট অনুমান করা যায় মধ্যযুগের শিক্ষিত কবিগণের ওপর লোককবিগণের প্রভাব ছিল অত্যন্ত ব্যাপক, যার ফলে শিক্ষিত কবিগণ লিখে কাব্য-গাথা রচনা করলেও নাম- ভণিতা ব্যবহারের লোকরীতিকে তারা বর্জন করতে পারেননি। সুদূর প্রাচীনকালের চর্যাপদ থেকে শুরু করে অষ্টাদশ শতাব্দীর ভারতচন্দ্র, হেয়াত মামুদ, গরীবুল্লাহ পর্যন্ত এই লোকরীতি ব্যাপকভাবে অনুসৃত হয়ে এসেছে তাদের প্রতিটি কাব্যে। আজ করপোরেট সময়ে দাঁড়িয়ে লোককবিদের সৃষ্ট সাহিত্যকে যতই আমরা গেঁয়ো বা গ্রাম্য অশিক্ষিত বা অল্পশিক্ষিত লোকের সাহিত্য বলে অবহেলা করি না কেন- কোনোভাবেই আমরা আমাদের সাহিত্যের পরম্পরা ধারা থেকে লোকসাহিত্যকে উপড়ে ফেলতে পারি না। বরং লোকসাহিত্যই আমাদের সাহিত্যের বিশাল স্থানজুড়ে রয়েছে।
এই বঙ্গ মায়ের সন্তান লোকগবেষক আব্দুল খালেক সম্পর্কে বলতে গিয়ে ড. মাযহারুল ইসলাম তরু বলেছেন- ‘প্রফেসর আব্দুল খালেক একজন ফোকলোরবিদ বলেই বাংলা প্রাচীন ও মধ্যযুগের গণমানুষের জীবনের সঠিকচিত্র তথা লোকজীবনের যথার্থরূপ খুঁজে পেয়েছেন। কারণ লোকজীবনের কথা যখন বলা হয় তখন সমাজের নিরক্ষর দারিদ্র্যপীড়িত অন্তজ্য শ্রেণির লাঞ্চিত-বঞ্চিত মানুষের কথাই আমাদের মনে পড়ে, প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলাকাব্যজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে যাদের জীবন কথা। এদের কথাই আব্দুল খালেক বলার চেষ্টা করেছেন।’ তার এই যে নানামাত্রিক লোকসাহিত্যের সম্প্রসারণ কিংবা প্রান্তিক সাহিত্যকে প্রাতিষ্ঠানিকরূপে লোকসম্মুখে তুলে ধরা এবং এই বিষয়েও যে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে লেখাপড়া করা যায়- সেই অনুধাবনও তিনি করেছিলেন। এসব কারণেই আজ বলতে বাধা নেই প্রফেসর আব্দুল খালেক বাংলাদেশে লোকসাহিত্য চর্চার অন্যতম পথপ্রদর্শক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়