দুদক মামলা : আদালতে হাজিরা দিলেন আব্বাস দম্পতি

আগের সংবাদ

শিল্প খাতে বাড়ল গ্যাসের দাম > সবচেয়ে বেশি বাড়ছে ক্ষুদ্রশিল্পে, মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ বাড়বে : বিশেষজ্ঞদের অভিমত

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে ৪ মামলা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : নগরীতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় পৃথক চারটি মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করসহ ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর মধ্যে বিস্ফোরক ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে কোতোয়ালি থানা পুলিশ, মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশ, রেডিসনের সামনে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জেলা পুলিশ এবং সংর্ঘষের ঘটনার জন্য কোতোয়ালি থানা পুলিশ সন্ত্রাস দমন আইনে আরো একটি মামলা দায়ের করে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে নগরীর কোতোয়ালি থানায় পুলিশ বাদী হয়ে চারটি মামলা করে। তবে সংঘর্ষের সময় আটক ১৬ জন ছাড়া নতুন করে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। 
কোতোয়ালি থানার ওসি জাহেদুল কবির বলেন, বিএনপি কার্যালয়ে সমাবেশের সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা বিনা উসকানিতেই পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন ও ট্রাফিক পুলিশের একটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় পাঁচ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় চারটি মামলা করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় মিরসরাই থানা পুলিশের পক্ষ থেকে ৩২ জনকে এজাহারনামীয় ও ৫০ থেকে ৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ৯০ জনকে এজাহারনামীয় ও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে কোতোয়ালি থানার পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলা করা হয়েছে। এছাড়া কাজীর দেউড়ি মোড়ে টিআই বিপ্লব কুমার পালের ওপর হামলা এবং তার সরকারি মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনায় ৩৫ জনকে এজাহারনামীয় ও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে আরেকটি মামলা করা হয়েছে। ওই টিআই বিপ্লবের ওপর হামলা, সরকারি সম্পদ ধ্বংস এবং সন্ত্রাস দমন আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়। চারটি মামলায় ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল থেকে ২০ জনকে আটক করি। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হলেও কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। আহত পাঁচ পুলিশ সদস্য হলেন সিএমপি ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক বিপ্লব বড়–য়া, জেলা পুলিশের এসআই জলৎকার চাকমা, এএসআই ওসমান গনি, অজয় চাকমা ও কনস্টেবল লিনা আকতার। আহতরা সবাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে নগর বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ করে। মিছিল নিয়ে সমাবেশে যেতেই পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। দফায় দফায় সংঘর্ষে পুরো এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। পুলিশের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় অন্তত পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। এ সময় কাজীর দেউড়ি এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের একটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে দেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিএনপির নেতাকর্মীরা সংঘর্ষ চলাকালে গণমাধ্যম ও চিকিৎসকসহ অন্তত ১০টি গাড়ি ও বেশ কয়েকটি দোকানও ভাঙচুর করেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়