দুদক মামলা : আদালতে হাজিরা দিলেন আব্বাস দম্পতি

আগের সংবাদ

শিল্প খাতে বাড়ল গ্যাসের দাম > সবচেয়ে বেশি বাড়ছে ক্ষুদ্রশিল্পে, মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ বাড়বে : বিশেষজ্ঞদের অভিমত

পরের সংবাদ

এশিয়ার চালের বাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : এশিয়ার চালের বাজারে চলতি সপ্তাহে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। থাইল্যান্ডে দাম বেড়ে দুই বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। দেশটির মুদ্রার দাম বৃদ্ধি ও শস্যটির শক্তিশালী চাহিদা দাম বাড়াতে সহায়তা করেছে। তবে ভিয়েতনামে দাম কমে ছয় সপ্তাহের সর্বনি¤েœ নেমেছে। অন্যদিকে আগের দামেই পণ্যটি রফতানি করছে ভারত। কারণ সৌরবর্ষের ছুটি উপলক্ষে দেশটির রপ্তানি ও উৎপাদন কার্যক্রমের গতি মন্থর।
চলতি সপ্তাহে থাইল্যান্ডের ৫ শতাংশ ভাঙা চালের দাম বেড়ে টনপ্রতি ৪৮০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে একই চাল রপ্তানি করা হয়েছিল ৪৯৫ ডলার মূল্যে। ২০২১ সালের মার্চের পর সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে দেশটির চাল। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে থাই চালের আঞ্চলিক চাহিদা প্রচুর। অন্যদিকে বাথের বিনিময় মূল্য বেড়ে যাওয়ায় বিদেশি ক্রেতাদের বেশি দামেই পণ্যটি কিনতে হচ্ছে।
ব্যবসায়ী জানান- বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ায় থাই চালের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এ কারণে দাম পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। তিন-চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দামে এসব চাল রফতানি হচ্ছে। শিগগিরই প্রতি টন চালের দাম ৫০০ ডলারে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে ভিয়েতনাম ফ্রি অন বোর্ড চুক্তিতে ৫ শতাংশ ভাঙা চাল রপ্তানি করছে টনপ্রতি ৪৪৫-৪৫০ ডলারে, এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ৪৫৮ ডলার। হো চি মিন সিটিভিত্তিক এক ব্যবসায়ী জানান, আর কয়েকদিন পরই সৌরবর্ষের ছুটি শুরু হবে। এ কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি কমে এসেছে। এ কারণেই কমতির দিকে দাম। রপ্তানিকারকরা বর্তমানে আগের করা চুক্তির অধীনে চাল সরবরাহ করছেন। নতুন চুক্তির পরিমাণ কম। এদিকে গত বছর বিপুল পরিমাণ রপ্তানির কারণে চলতি বছর স্থানীয় বাজারে চালের সরবরাহ কমে গেছে বলেও জানান এ ব্যবসায়ী।
দেশটির খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বছরে সবচেয়ে বেশি চাল সংগ্রহ হয় শীত-বসন্ত মৌসুমে। ফেব্রুয়ারিতে এ মৌসুম শুরু হবে। মার্চের মাঝামাঝি সময়ে সংগ্রহের হার সর্বোচ্চে পৌঁছতে পারে। বিশ্বের শীর্ষ চাল রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে প্রথম ভারত। চলতি সপ্তাহে দেশটি ৫ শতাংশ ভাঙা সেদ্ধ চাল টনপ্রতি ৩৭৫-৩৮২ ডলারে রপ্তানি করেছে। গত সপ্তাহেও একই দামে রপ্তানি করা হয়েছিল। তবে সাদা চালের দাম বেড়ে টনপ্রতি ৩৯৮-৪০৫ ডলারে উন্নীত হয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩৯৪-৪০০ ডলার।

এ ব্যাপারে ভারতের চাল রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বি ভি কৃষ্ণ রাও বলেন, রপ্তানি বাজারে বর্তমানে সাদা চালের চেয়ে সেদ্ধ চালের চাহিদা বেশি। এছাড়া প্রতিযোগিতার বাজারে বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে ভারতীয় চালের বাজারদর।
আন্তর্জাতিক চাল বাণিজ্যে ৪০ শতাংশ বাজার হিস্যাই ভারতের। ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশটি সব মিলিয়ে ২ কোটি ১২ লাখ ৩০ হাজার টন চাল রপ্তানি করে। এর আগের অর্থবছর রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৭৭ লাখ ৮০ হাজার টন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়