দুদক মামলা : আদালতে হাজিরা দিলেন আব্বাস দম্পতি

আগের সংবাদ

শিল্প খাতে বাড়ল গ্যাসের দাম > সবচেয়ে বেশি বাড়ছে ক্ষুদ্রশিল্পে, মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ বাড়বে : বিশেষজ্ঞদের অভিমত

পরের সংবাদ

আসছে ভিলেজ ডিজিটাল বুথ : গ্রামে থেকেই তোলা যাবে ব্যাংকে জমা টাকা ও ঋণ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিদবেদক : কারো ব্যাংক হিসাবে টাকা আছে। আর হিসাবধারী থাকেন গ্রামে। কিন্তু ব্যাংক মফস্বল শহরে কিংবা জেলা শহরে। অথবা হঠাৎ টাকা দরকার, কিন্তু ব্যাংক খোলা নেই। গ্রামে কোনো এটিএম বুথও নেই। এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসছে এটুআইর পেমেন্ট পরিষেবা প্ল্যাটফর্ম ‘একপে’ ও জয়তুন বিজনেস সলিউশনস। আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশের সব গ্রামে তারা গড়ে তুলবে ভিলেজ ডিজিটাল বুথ। এই বুথ থেকে ব্যাংকের কার্ড বা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে টাকা জমা ও ওঠানো যাবে। হিসাবধারীরা ঋণও পাবেন।
গ্রামে বসবাসকারী মানুষদের জন্য এমন সেবা নিশ্চিতে এটুআই ও জয়তুন বিজনেস সলিউশনসের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এটুআইর প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এবং জয়তুন বিজনেস সলিউশনসের চেয়ারম্যান মো. আরফান আলী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
এই দুই প্রতিষ্ঠান জানায়, এই বুথ গ্রাম এলাকায় স্থাপন করা হবে। বুথের মাধ্যমে ব্যাংকিং, শেয়ার বাজার ও বিমা খাতসহ বিভিন্ন আর্থিক সেবা পাবে সেখানকার বাসিন্দারা। অনেকটা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মতোই সরকারি পরিষেবা বিল পরিশোধ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ভাতাসমূহ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসংক্রান্ত বিল পরিশোধ, টেলিমেডিসিন, ই-টিকেটিং ইত্যাদি সেবা পাওয়া যাবে। সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সেবা পাওয়া যাবে বলেও দাবি করছে এটুআই ও জয়তুন। ইতোমধ্যে দেশের ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই সেবা দিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা। চলতি মাসের শেষ নাগাদ এই ডিজিটাল বুথ স্থাপনের পাইলটিং শুরু হবে মুন্সীগঞ্জ জেলার ৫০টি গ্রামে।
ন্যূনতম এইচএসসি পাস স্থানীয় উদ্যোক্তা এই বুথ পরিচালনা করবে। যিনি মূলত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হয়ে সব লেনদেনের কাজ করবেন। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মতো লেনদেনের ওপর নির্ভর করবে তার আয়। বুথে যে টাকা লেনদেন হবে সেই বিনিয়োগ হবে ওই উদ্যোক্তার। উদ্যোক্তার ব্যাংক হিসাবে লক্ষাধিক টাকা থাকলে তিনি কার্যক্রম চালাতে পারবেন।
এটুআইর প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের অভিজ্ঞতার আলোকে এই প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলা হবে। যা দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করবে এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।
জয়তুন বিজনেস সলিউশনসের চেয়ারম্যান মো. আরফান আলী বলেন, ব্যাংক হিসাবের বিপরীতে সেবা পেতে কোনো একটা ডিজিটাল মাধ্যম যেমন- মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড থাকতে হবে। ইকেওয়াইসি প্রযুক্তির মাধ্যমে এসব লেনদেন সম্পন্ন করা হবে। কাজটা শুরু করা গেলে একটা সময় ব্যাংকগুলো এই উদ্যোক্তার মাধ্যমে ঋণও দেয়া শুরু করতে পারবে। উদ্যোক্তার জন্য ব্যবসাবান্ধব করে সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করা হবে। এখানে আমাদের লক্ষ্য- শুধু ব্যবসায় লাভ করা নয়, একই সঙ্গে উদ্যোক্তা তৈরি ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির কাজটাও এগিয়ে নেয়া। তিনি আরো বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ডিজিটাল বুথ বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে দেশের উন্নয়ন আরো ত্বরান্বিত হবে।
অনুষ্ঠানে জয়তুন বিজনেস সলিউশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর হোসাইনসহ দুই প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়