নিউমার্কেটে সংঘর্ষ : তিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পেছাল

আগের সংবাদ

নামমাত্র প্রস্তুতিতে পাঠদান : বই পায়নি অনেক শিক্ষার্থী > বই, সহায়িকা ছাড়াই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ > নোট-গাইড ছাপার তোড়জোড়

পরের সংবাদ

এলএনজি আমদানিতে ইইউ শীর্ষে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় হয়ে উঠেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ব্লকটির দেশগুলো গত বছর এলএনজি আমদানি ২০২১ সালের তুলনায় প্রায় ৫৮ শতাংশ বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। তথ্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রেফিনিটিভ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত বছর ইইউর দেশগুলোয় এলএনজি আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ১০ লাখ টনে। এর মধ্য দিয়ে চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার আমদানিকে ছাড়িয়ে গেছে অঞ্চলটি। মোট আমদানির বেশির ভাগই এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। দেশটি ইউরোপে ৫ কোটি ২০ লাখ ৬০ হাজার টন এলএনজি সরবরাহ করেছে, ২০২১ সালে যা ছিল ২ কোটি ১৫ লাখ টন। ইইউ এ বছর ১৩ হাজার ৭০০ কোটি ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাসের সমপরিমাণ এলএনজি আমদানি করেছে। গত বছর রাশিয়া যে পরিমাণ সরবরাহ করেছিল তার চেয়ে এটি মাত্র ৩০০ কোটি ঘনফুট কম। গত বছর রাশিয়া থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে এলএনজি আমদানি কমে ছয় হাজার কোটি ঘনফুটেরও নিচে নেমেছে। ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে যে পরিমাণ এলএনজি আমদানি হয়েছে তার ২৪ শতাংশ কিনেছে ইইউ। এ সময় চীনের আমদানি হিস্যা ১৫ ও জাপানের ১৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার হিস্যা ছিল ১১ শতাংশ।
থিংক ট্যাংক ব্রুগলের দেয়া তথ্যমতে, বর্তমানে ইইউর মোট গ্যাস সরবরাহের ৩৫ শতাংশই পূরণ হচ্ছে এলএনজির মাধ্যমে, গত বছর যা ছিল ২০ শতাংশ। অঞ্চলটিতে রাশিয়ান গ্যাসের হিস্যা ৪০ শতাংশ থেকে কমে ১৫ শতাংশে নেমেছে।

২০২১ সালে ইইউ যে পরিমাণ এলএনজি আমদানি করেছে তার ৪৫ শতাংশই এসেছে রাশিয়া থেকে। এছাড়া ব্লকটির মোট গ্যাস ব্যবহারের ৪০ শতাংশ হিস্যা ছিল দেশটির। কিন্তু ইউক্রেন সংকট শুরুর পর দেশটি থেকে আমদানি কমতে শুরু করে। ইউক্রেনে হামলার প্রতিক্রিয়ায় ব্লকটি রাশিয়ার ওপর কয়েক ধাপে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। সবশেষ গত বছরের ৫ ডিসেম্বর দেশটি থেকে জ্বালানি তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়। আগামী মাসে পরিশোধিত জ্বালানি পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। এসব নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে কোণঠাসা করে রাখা।
রাশিয়া থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে এলএনজি আমদানি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপ। বিকল্প উৎস থেকে সরবরাহ নিশ্চিত করতে মরিয়া অঞ্চলটি। এ কারণে গত বছর সেখানে জ্বালানিটির চাহিদা আকাশচুম্বী হয়ে ওঠে। ঊর্ধ্বমুখী চাহিদায় সাড়া দিতে সমুদ্রপথ ও পাইপলাইনের পাশাপাশি রেলপথেও সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়।

রেফিনিটিভ জানায়, ২০২২ সালে বৈশ্বিক এলএনজি আমদানি বেড়ে ৪০ কোটি ৯০ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। ২০২১ সালে আমদানির পরিমাণ ছিল ৩৮ কোটি ৬৫ লাখ টন। অন্যদিকে পণ্যবাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কেপলার বলছে, আমদানির পরিমাণ ছিল ৪০ কোটি ৫ লাখ টন, ২০২১ সালে যা ছিল ৩৭ কোটি ৯৬ লাখ টন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়