পদ্মা সেতু : মোটরসাইকেল চলাচল চেয়ে হাইকোর্টে রিট

আগের সংবাদ

আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ : বিশ্বকাপে অপ্রতিরোধ্য টাইগ্রেসরা

পরের সংবাদ

আজও টিকে আছে রাউজানের রামধন জমিদার বাড়ির জরাজীর্ণ ভবনটি : সন্ধ্যাকালে আর শোনা যায় না নূপুরের নিক্কন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম রমজান আলী, রাউজান (চট্টগ্রাম) থেকে : প্রাচীন কারুকার্যমণ্ডিত সুপরিসর ভবন। পলেস্তেরা ওঠে গিয়ে শ্যাওলা জমেছে ভবনটির অনেক স্থানে। পুকুর, রামধর দীঘি, বাড়ির সামনের তোরণ, চুন সুরকি দিয়ে তৈরি কাচারিঘর, জমিদারের আনন্দ মহল, নাচখানা, মন্দির সবই আছে। তবে বাড়িটির পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় বাড়ির ভেতর থেকে সন্ধ্যাকালীন সময়ে নূপুরের আওয়াজ ভেসে আসে না এখন।
এক সময়ের কর্মচাঞ্চল্যে ভরা বাড়িটির জৌলুস হারিয়ে গেছে অনেক আগেই। তবু ঐতিহ্য ধরে রেখে কালের সাক্ষী হয়ে আজও টিকে আছে রাউজানের ডাবুয়া এলাকার রামধন জমিদার বাড়ির জরাজীর্ণ ভবনটি। রাউজানে ঐতিহ্যবাহী এই ভবনটি জুড়েই রয়েছে সুনশান নীরবতা। ব্রিটিশ শাসনামলে এই বাড়িটির আধিপত্য ছিল এলাকাজুড়ে। এলাকার জমিদারি ছিল রামধন জমিদারের হাতেই। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নানা শ্রেণিপেশার মানুষের আনাগোনা লেগেই থাকত বাড়িটিতে। কালের আবর্তে সেই দিনগুলো হারিয়ে গেছে অতীতের হিমাগারে।
জমিদার রামধর ও রামগতি ধরের বংশধরের মধ্যে অনেকেই চট্টগ্রাম শহর ও ঢাকায় বসবাস করলেও জমিদার বাড়িটির কিছু অংশ সংস্কার করে রামধরের নাতি-নাতনিসহ কয়েকজন এখনো বসবাস করেন এই বাড়িটিতে। পূজার সময় কিংবা পারিবারিক অনুষ্ঠানে একত্রিত হন জমিদারের পরিবাররা। বার্ধক্যের ছাপ দানা বেঁধেছে শরীরে। সেদিনগুলোর কথা ভেবে এখনো স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন রামধন জমিদারের নাতনি একাশি বছরের বৃদ্ধা ছবি ধর।
কান্না বিজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, এক সময় আমাদের এই বাড়িটি লোকে গিজগিজ করত। আমাদের জন্মের পর থেকে দেখেছি ঠাকুরদার (রামধন জমিদার) জমিদারি শাসন। তিনি মারা যাওয়ার পর বাবা কেশব চন্দ্র ধর জমিদারির হাল ধরেন। ১৯৫৫ সালের ৬ জুন বাবার মৃত্যুর পর আমাদের জমিদারি ধীরে ধীরে হারিয়ে গেল।
সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে বুক চিরে বেরিয়ে আসে দীর্ঘশ্বাস। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জমিদার বাড়িটি রূপার থালা, বালতি, কেঁটলিসহ অভিজাত শ্রেণির ভোগবিলাসীতায় ভরপুর ছিল। এলাকার মানুষদের কাছ থেকে রূপার টাকায় খাজনা আদায় করত জমিদার। ডাবুয়া জগন্নাত হাট, ডাবুয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, চিকদাইর পুলিশ ফাঁড়িসহ রাউজান আর আর এসি মডেল হাইস্কুল প্রতিষ্ঠায় এ জমিদার বংশের বিশেষ অবদান রয়েছে বলে স্বীকৃতি আছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়